মুর্শিদাবাদে দলের গোষ্ঠীকোন্দল ঠেকাতে এবার ময়দানে নামতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার বেলা চারটের সময় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব, দলের বিধায়ক-সাংসদ, জেলাপরিষদের সভাধিপতি-সহকারি সভাধিপতি, পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদের কলকাতায় তৃণমূল ভবনে তলব করেন দলনেত্রী। জেলার ৫৫ জন নেতাকে তৃণমূল ভবনে আসতে বলা হয়েছে। বাকি ১৫০ জন ও জনপ্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন এই বিশেষ বৈঠকে। ওই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরও।
গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে দিন কয়েক আগে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্বকে নিজের বাড়িতে ডেকে বৈঠক করেছেন। তার পরেও কোন্দল কমেনি। এ বারে সমস্যা মেটাতে আসরে নামলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অন্য জেলায় তৃণমূল ব্লক ও জেলা কমিটি ঘোষণা করে কাজে নেমে পড়েছে। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এখনও মুর্শিদাবাদ জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি।
শুধু তাই নয়, কোন্দল এড়াতে পুরনো ব্লক সভাপতিদের স্বপদে বহাল রাখার সিদ্ধান্তেও দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর নন্দীগ্রামের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ নিয়েও যথেষ্ট চিন্তায় রাজ্যের শাসকদল। কারণ, ওই জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগেই শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মোশারফ হোসেন জেলা পরিষদের প্রয়াত কর্মাধ্যক্ষ মফেজুদ্দিন মণ্ডলের স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এর পরেই মধুর নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে দেওয়া হয়।
Be the first to comment