মননোয়নপত্র পেশ করেই নন্দীগ্রামে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এদিন রেয়াপাড়ায় শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে রোড শো করে হলদিয়ায় মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মনোনয়নপত্র পেশের পর তৃণমূলনেত্রী বলেন, নন্দীগ্রাম আমার কাছে নতুন নয়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শরিক ছিলাম। নন্দীগ্রামের আরেক নাম সংগ্রাম। নন্দীগ্রাম আমায় ভোট দেবে। নন্দীগ্রামের মানুষকে স্যালুট।
এদিন তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, আমার মনোনয়নে চারজন প্রস্তাবক রয়েছেন। শেখ সুফিয়ান আমার ইলেকশন এজেন্ট। উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। এই প্রথম নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার প্রতিপক্ষ তাঁরই একসময়ের বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দু অধিকারী। মমতাকে আধ লাখ ভোটে হারাবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে এদিন মমতার মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে তুমুল উদ্দীপনা ছিল তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। ‘শুভেন্দু হঠাও’ স্লোগানও ওঠে। নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ায় মমতাকে সেখানকার বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের কর্মিসভা থেকে শুভেন্দুকে নাম না করে মমতার আক্রমণ, ‘আমি বহিরাগত হলে তো মুখ্যমন্ত্রীই হতে পারতাম না।’ আবার তিনি বলেন, ‘তুমি নন্দীগ্রামের লোক, আমি বীরভূমের লোক। তফাৎ শুধু এটুকুই।’
অন্যদিকে, এদিনই নন্দীগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘চিটফান্ডের টাকায় ভোটে লড়বেন মাননীয়া, চিটফান্ডের টাকা মেরেছেন তিনি।’ কারও নাম না করে মন্তব্য করেছেন, ‘দড়ি ধরে মারও টান রানি হবে খান খান।’ তাঁর পাশে তিনি যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চান তাও তিনি বলেছেন।
Be the first to comment