জেলায় জেলায় জ্বরে আক্রান্ত বহু শিশু। কোভিড পরিস্থিতির মাঝে শিশুদের জ্বরে ছড়াল নয়া আতঙ্ক। উদ্বেগে রাজ্যবাসী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী SSKM-এ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও এই জ্বরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর।
বৈঠক শেষে বাইরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ন স্বরূপ নিগম জানান, ‘এনকোয়ারি করে দেখা হয়েছে, কোথাও কোনও অজানা জ্বর হয়নি। মোটের উপর সব মরসুমি জ্বর। এই জ্বর নিয়ে কোনও আতঙ্কের কারণ নেই। মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা বি এবং আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত বেশির ভাগ শিশু। যারা মারা গিয়েছে, তাদের অন্যান্য শারীরিক জটিল সমস্যা ছিল।’
এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চাইলেন তিনি। টুইট করে কড়া ভাষায় শুভেন্দু লেখেন, ‘ভবানীপুরের ভোট নিয়ে ব্যস্ত রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি, বাংলার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি দল পাঠান।’ টুইটে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে ট্যাগও করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লেখেন, ‘অবিলম্বে বাংলায় পাঠানো হোক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল।’ পাশাপাশি তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে একের পর এক ভয়ংকর খবর আসছে। সাড়ে সাতশোর বেশি শিশু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসাধীন। ভাইরাল ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ রয়েছে তাদের সকলেরই।’ তাঁর আরও দাবি, ‘এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই ছয়জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ফলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
Be the first to comment