অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বলতে দেওয়া হলেও কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এ ইস্যুতে আগেও একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারও সেই একই অভিযোগ সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলার জন্য ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে। তাই পরবর্তী বৈঠকে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের পরিকল্পনা নিয়ে হওয়া বৈঠকেই এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আগামী বছরে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী পরিকল্পনা করা হবে, তা নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়। সেই বৈঠকে শিল্পী যোগেন চৌধুরী ও কবি জয় গোস্বামীও বুধবারের বৈঠকের ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেন।
যোগেন চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী অন্যান্যদের কথা বলার সুযোগ দিলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সুযোগ দেননি। অথচ স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার অবদান সবথেকে বেশি। শিল্পী মহলের তরফ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছি ও নিন্দা জানাচ্ছি। অন্যদিকে, জয় গোস্বামী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুর্ব্যবহার এর আগে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালেও দেখা গিয়েছিল, তাই এই ব্যবহারে অবাক হওয়ার কিছু নেই। গতকালের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন তিনিও।
এই বৈঠক চলাকালীনই মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বলেন শুক্রবারের বৈঠকে যে তিনি থাকতে পারবেন না, এ কথা জানিয়ে দিতে। মমতা জানান, শুক্রবার ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে একটি বৈঠক রয়েছে কেন্দ্রের সঙ্গে। সেই বৈঠকে থাকবেন না বলেই জানান মমতা। তিনি উল্লেখ করেন, ঋষি অরবিন্দকে এ রাজ্যে সব কর্মসূচি ঠিক হয়ে গিয়েছে তাই আলাদা করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। রাজ্যের কর্মসূচি কেন্দ্রকে জানিয়ে দিতে বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আগামিকাল আমি থাকতে পারব না। কাল আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। ঋষি অরবিন্দকে নিয়ে আমাদের সব হয়ে গিয়েছে। আর নতুন করে কিছু বলার নেই।’
উল্লেখ্য, বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলার সুযোগ মেলেনি বলে অভিযোগ মমতার। দু’ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে। তা নিয়ে ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ সংক্রান্ত বৈঠক ছিল। সেখানে কথা বলার সুযোগ পাননি তিনি।
তবে এই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ নতুন নয়। চলতি বছর মে মাসে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত একটি বৈঠকেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। সেইসময় মমতা দাবি করেছিলেন, করোনা টিকা চাওয়ার জন্য কোনও প্রশাসনিক কর্তাকে না পাঠিয়ে তিনি নিজে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু কথা বলার সুযোগ না পেয়ে অপমানিত হতে হয় তাঁকে।
Be the first to comment