‘কাউকে ফেরাবেন না, কাজ করে দিন’, উদ্বাস্তুদের জমির দলিল বিলিতে ভূমি দপ্তরকে কড়া বার্তা মমতার

Spread the love

প্রতিশ্রুতিমতো রাজ্যের উদ্বাস্তুদের মাথার উপর ছাদ পাকা করতে জমির স্বত্ত্বাধিকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে জমির দলিল পেলেন প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। মতুয়ারাও জমির পাট্টা পাবেন, এমনই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিনের সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি ফের ভূমি সংস্কার দপ্তরকে কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করলেন।

আধিকারিকদের উদ্দেশে তাঁর কড়া বার্তা, ”মানুষ বিভিন্ন কাজে প্রায়শয়ই ভূমি দপ্তরের দ্বারস্থ হন। আপনারা তাঁদের ফিরিয়ে না দিয়ে কাজটা করে দেবেন। কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার নয়, নিয়ম মেনে কাজ করবেন।” প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার ভূমি সংস্কার দপ্তর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উদ্বাস্তুদের সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয় জমির দলিল। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তাঁর সরকার উদ্বাস্তুদের জন্য কী কী কাজ করেছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। মতুয়াদেরও জমি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এরপরই ভূমি সংস্কার দপ্তরকে কড়া বার্তা দিলেন। প্রসঙ্গত, জমির পাট্টা বিলির কাজকর্ম ভূমি সংস্কার দপ্তরের অধীনেই হয়ে থাকে। তাই সেই কাজ যাতে মসৃণভাবে হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গত বছরই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাজে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নভেম্বর মাসে হাওড়া জেলায় শিল্প বিনিয়োগের জন্য জমি প্রয়োজন। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কাজ থমকে রয়েছে। তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকের উদ্দেশে বলেন, “হাওড়া জেলায় জমি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। জেলা ভূমিদপ্তরের কর্তারা দেরিতে কাজ করছেন।” এরপরই তিনি জানতে চান, “কার নির্দেশে কাজ বন্ধ? কারা এত বড় বড় নেতা দেখি?”এরপর আবার এদিনও কড়া বার্তা দিলেন। আসলে উদ্বাস্তু মানুষজন ঠিকমতো দলিল পান, তাতে সাহায্য করতে হবে ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*