মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ভিত্তিহীন, উস্কানিমূলক, আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ। বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ। বিধায়ককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন তিনি।
বিষয়টা ঠিক কী? রবিবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজারে ‘চালন্দিয়া নদী বাঁচাও মঞ্চে’র পক্ষ থেকে যশোর রোড অবরোধ করা হয়। সেই কর্মসূচিত শামিল হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত-সহ তৃণমূলের নেতাদের তীব্র কটাক্ষ করেন স্বপন। অনুব্রতর হাসপাতালে ভরতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, অনুব্রত মণ্ডল ফিরতে পারবে না। ফিরলেই ওনাকে সিবিআইয়ের কাছে যেতে হবে। আর ওখানে গেলে সবার সব কিছু ফাঁস হয়ে যাবে। আমার তো মনে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইঞ্জেকশনে উডবার্ন ওয়ার্ডেই মরতে হবে ওনাকে।”
এই মন্তব্য প্রসঙ্গে রবিবারই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ বলেছিলেন, “উনি একজন দাগি আসামি। আসাম থেকে জেল খেটে এসেছেন। নিজেই একজন নারকটিকে আসামী ছিলেন, জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে। ওনার বলার কোনও অধিকার আছে? উনি অত বড়মাপের নেতা নয়। উনি বিষাক্ত ইনজেকশনের কথাটা কোথা থেকে পেলেন? সিবিআই-এর যারা সচিব আছেন তাঁদের কাছে অনুরোধ, উনি কোথা থেকে বিষয়টা জেনেছে তা খতিয়ে দেখতে। আমরা স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেব।”
হুঁশিয়ারি মতোই সোমবার সকালে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল শেঠ। তিনি অভিযোগে লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে মনগড়া, ভিত্তিহীন, উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করেছেন স্বপন মজুমদার। এতে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানি করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বিধায়কের বক্তব্য সন্দেহজনক। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাণনাশের জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে কোনও গোপন চক্রান্ত করা হয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছেন।
Be the first to comment