পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহলে দাঁড়িয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলে একজোট হয়ে কাজের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, দলে ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। স্পষ্ট বার্তা, “যে দলের প্রতীক পাবে, তাঁকেই সকলে মিলে সমর্থন করতে হবে।” সভানেত্রীর স্পষ্ট বার্তা, তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া থাকলে দিল্লি জয় করতে পারবে।
শনিবার শালবনিতে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দাঁড়িয়ে দলে ঐক্যের বার্তা দেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়ে দেন যাঁকে দল মনোনীত করবেন, তাঁকেই সমর্থন করতে হবে। বলেন, ”অনেক সময় দেখা যায় বিধায়কের একটা মত হচ্ছে, ব্লক সভাপতির আরেক মত হচ্ছে। কিংবা জেলা পরিষদের সদস্যের একটা মত হচ্ছে। আর বুথ কমিটির আরেকটা মত হচ্ছে। গণতন্ত্রে দল বড় হলে ভিন্নমত হতেই পারে। দলের সিম্বল যেই পাক, সবাই মিলে তাঁকে সমর্থন করতে হবে।”
এরপরই জেলা নেতৃত্বদের নাম ধরে ধরে সতর্ক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার কথায়, “জুন ভালো মেয়ে। এলাকায় ঘোরে। ও আমাদের সংস্কৃতিক মঞ্চের সদস্য। সুজয় ওর সঙ্গে ভালো করে কথা বলো। শিউলির সঙ্গে ঝামেলা মেটাও। অজিত মাইতি পুরোনো লোক। কিন্তু একটু গ্রুপ করে। নিজেদের বদলাও, তা না হলে তোমাদের বদলে দেব। শ্রীকান্ত মাহাতো, বিরাট নেতা। কিন্তু মাহাতদের কথা ঠিকভাবে বলতে পারে না। হুমায়ন কবীর প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বিষয় আলাদা। ডেবরায় সমস্যা চলছে। মানস ভুঁইয়াকে বলব শুধু স্বয়ং নিয়ে থাকলে চলবে না। আপনি তো গোটা জেলার। রাজ্যের মন্ত্রী। প্রদীপ সরকার, খড়গপুর পুরসভায় কাউন্সিলরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করো কেন?”
এর পার গোটা জঙ্গলমহলে দলের নিজেদের মধ্যে মনমালিন্য মিটিয়ে নেওয়া কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায় বলে দেন,”তৃণমূল যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া না করে, কেউ তৃণমূলকে হারাতে পারবে না।” তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া থাকলে দিল্লি জয় করতে পারবে- মনে করেন দলনেত্রী। “কথা দিন, সবাই একসঙ্গে লড়াই করবেন। গদ্দারের সঙ্গে যাবেন না। আমি দেখতে চাই মেদিনীপুরে যাতে সবচেয়ে ভালো ফল করে। পঞ্চায়েত থেকে সেটা শুরু হোক।“ মঞ্চে অভিষেককে পাশে নিয়ে মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে একতার বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
Be the first to comment