মাসানুর রহমান,
আজ মুর্শিদাবাদের কান্দি ও জঙ্গীপুরে নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে আমি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম কারণ কংগ্রেস সিপিএমের কাছে নিজেদের তিন রঙা ঝাণ্ডা বিক্রী করে দিয়েছিল আমরা তা মেনে নিতে পারিনি। তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলাম, যার চিহ্ন জোড়াফুল – এক বৃন্তে দুটি কুসুম। সেদিন আমাদের অনেককে ব্যঙ্গ কটাক্ষ করেছিল। আজ ২১ বছর পর এই দল এক বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে, সে নিজে স্বাবলম্বী ও শক্তিশালী। আজ মানুষের আশীর্বাদ, সহযোগিতা নিয়ে সে বাংলাকে জয় করেছে।
তিনি বলেন, অনেক বামপন্থী ও কংগ্রেসের লোক বেরিয়ে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাদের আমার অভিনন্দন, ওরা শুধু বঞ্চনা লাঞ্ছনা পেয়েছেন, শুধু সন্ত্রাস দেখেছে। ৩ টি দলের সঙ্গে কানাঘুষো করে কোন আদর্শ কখনো বাঁচে না, এই সত্যটা আজ প্রমাণিত। এখন সকলে আসল রহস্য বুঝতে পেরে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি আরোও বলেন, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। আমাদের সরকার গত সাড়ে ৭ বছরে যা কাজ করেছে সারা পৃথিবীতে কেউ তা করতে পারবে না। মুর্শিদাবাদে সংখ্যালঘু স্কলারশিপ, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, উচ্চ শিক্ষার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, সবুজ সাথী সাইকেল, ২ টাকা কিলো চাল, বিনা পয়সায় চিকিৎসা, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, স্বাস্থ্য সাথী – মহিলাদের নামে স্মার্ট কার্ড, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের জন্য অনেক কাজ করা হয়েছে, ঘাট, সেতু, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, মাল্টি সুপার হাসপাতাল, ৫০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য ৪০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, এসএনএসইউ, কর্মতীর্থ, পলিটেকনিক, আইটিআই, রাস্তা, কিষান মান্ডি, ক্লাস্টার তৈরী সহ অনেক কাজ হচ্ছে ।
Be the first to comment