শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে সরকারের ব্যয় সংকোচ নীতি স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ সভার শুরুতেই তিনি বলেন, “আমার কাজের জায়গা মানে এটা নয় যে বিলাসবহুল হোটেল হতে হবে। আমি একটা সরকারি অফিসকে ফাইভ স্টারের হোটেলের মতো করে তৈরি করব কেন ? আমাকে তো টাকার জোগান দিতে হচ্ছে।”
উত্তর দিনাজপুরে কৃষক ভবন তৈরির প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক থেকে দেড় কোটি টাকার মধ্যেও ভালো বিল্ডিং হয়। আগে পাঁচ লাখ টাকা দিলেই লোকে খুশি হত। এখন দেড়-দু কোটি টাকার নিচে কেউ কথাই বলে না। প্রতিটা জেলায় আমি নিজে মাইনরিটি ভবনগুলো তৈরি করেছি। ভবনগুলি তৈরির বাজেট ছিল ১ কোটি টাকা, খুব বেশি হলে দেড় কোটি। ওই টাকায় তিন তলা বিল্ডিং হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে উত্তর দিনাজপুরে একটা কৃষক ভবন তৈরির জন্য ১৯ কোটি টাকার প্রোজেক্ট পাঠিয়েছে। তার মানে যার যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে।”
দেনা শোধ করার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনও পর্যন্ত ২ লাখ ২৪ কোটি হাজার টাকার দেনা শোধ করেছি। এ বছরও ৪৬ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করতে হবে। তারপর আবার ৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া DA দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে বারণ করা হয়নি। সেগুলি যেমন চলছে তেমনই চলবে। কিন্তু, সব কিছু সঠিকভাবে চালাতে গেলে টাকার জোগানটাও তো লাগবে।”
খরচে রাশ টানতে ফাইভ স্টার হোটেলের পরিবর্তে সরকারি অনুষ্ঠান অফিসের কনফারেন্স রুমে করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “প্রতিটা অফিসের নিজস্ব কনফারেন্স রুম আছে। তাহলে সরকারি মিটিং আমরা সেখানেই করতে পারি। তার জন্য ফাইভ স্টার হোটেল বুক করার কী আছে ? এতে খরচ বেশি হবে। টাকা সাশ্রয় করুন। সরকারের টাকা নিজের টাকা বলে ভাবুন।”
Be the first to comment