আজ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। দুপুর ১টায় নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের সব মন্ত্রী। থাকবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, যুগ্মসচিব-সহ সব দফতরের সচিবরা। ডিজি মনোজ মালব্য সহ পুলিশ কর্তাদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেবেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররাও। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সূত্রের খবর, তার আগে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি ঠিক কী অবস্থায় আছে তা খতিয়ে দেখতে চান মমতা। সব দফতরের কাজের মূল্যায়ন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই সরকারি কাজকর্মের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখতে তৎপর রাজ্য সরকারও। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পগুলির বর্তমান অবস্থা কীরকম, তার একটা গ্রাফচিত্র নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক কয়েকটি ইস্যু, রাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীর গ্রেফতারিতে শাসকদলের অন্দরে একটা বড় ‘ঝড়’ উঠেছে। দুর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদের তীক্ষ্ণ ফলায় বারবার বিদ্ধ হচ্ছে শাসকদল। তার মধ্যে যাতে সরকারি কাজকর্ম, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা যাতে সমালোচনা করতে না পারেন, তা নিয়েই সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। রাজ্যের সব দফতরে, কোথায় কেমন কাজ হচ্ছে, তার খোঁজখবর নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক রুটিনের মধ্যেই পড়ে। তবে যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিনের বৈঠকে জেলাশাসকদের থেকে জেলাভিত্তিক কাজের খতিয়ান নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। উন্নয়নের নিরিখে কোন জেলা পিছিয়ে রয়েছে, সেখানে কী পদক্ষেপ করা হতে পারে, তার একটা রূপরেখা এদিনের বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Be the first to comment