উপনির্বাচনের জন্য বদলাতে পারে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন। বিধানসভায় এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, দুই কেন্দ্রের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য। ভোট পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে পরীক্ষার দিন বদল হতে পারে।
২ এপ্রিল থেকে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ১১ এবং ১৩ এপ্রিল পরীক্ষা রয়েছে। এর মধ্যে ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। পরীক্ষার মাঝে ভোট হলে সমস্যা হবে। তাই ভোট পিছনোর আরজি জানিয়েছে রাজ্য। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ওই দিন আরও কয়েকটি রাজ্যে ভোট রয়েছে। এখন ভোট পিছনো সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এ প্রসঙ্গে এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরীক্ষার মধ্যেই উপনির্বাচন রয়েছে। ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য। তা করা না গেলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন বদল হতে পারে। ভোটের আবহে কীভাবে পরীক্ষা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একদফা বৈঠক করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এদিকে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য একবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সূচি বদল হয়েছে। এবার ভোটের কোপে শিক্ষা সংসদ সেই পথে হাঁটে কিনা সেটাই দেখার।
উচ্চমাধ্যমিকের সূচি বদলে ১৬ এপ্রিলের পরিবর্তে কয়েকটি পরীক্ষা ১৩ এপ্রিলে করা হয়। আবার ১৮ এপ্রিলের একাধিক পরীক্ষার দিন বদলে করা হয় ২৫ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল ছিল অর্থনীতির পরীক্ষা। দিন বদলে যা হওয়ার কথা ২৬ এপ্রিল। ১৩ এপ্রিলের পরীক্ষা পিছিয়ে হচ্ছে ১৮ এপ্রিল। ২০ এপ্রিলের বদলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ২৬ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডও পরীক্ষার দিন বদল করেছে। ফলে ফের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এবার ভোটের জন্যও কি পরীক্ষার দিন বদল হবে? উত্তরের অপেক্ষায় পড়ুয়ারা।
Be the first to comment