বিধানসভায় চক্রান্তের আঁচ পেয়েছেন মমতা

Spread the love

সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় বাজেট অধিবেশনের শুরুতে বাদ দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের ভাষণ। সে ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের বিষয়টি প্রকট হয়েছে। তবে এ রাজ্যে সংঘাত থাকলেও রাজ্যপালের ভাষণ রাখা হয়েছিল বাজেট অধিবেশনের শুরুতে। মঙ্গলবার দলীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সেই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেলেঙ্গানার কথা উল্লেখ করে তাঁর দাবি, নিয়ম মেনে অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপালের ভাষণ রাখা হয়েছিল। সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভাষণ শুরুর আগেই বিজেপির বিক্ষোভে উত্তাল হয় বিধানসভা। ভাষণ শেষ করতে পারেননি রাজ্যপাল। আর সেই ঘটনায় বিজেপির ভূমিকার নিন্দা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতার দাবি, বিজেপি পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করেছিল সোমবার, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়। বিজেপির ভূমিকা নির্লজ্জ বলে দাবি করে সরব হয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপির পরিকল্পনা ছিল, যাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা যায়।’ গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে মমতা আরও বলেন, ‘নিজেদের ওয়ার্ডে হারছে তাতেও লজ্জা নেই। হেরে গেলেই ঝামেলা হয়েছে বলে চীৎকার করছে।’ বিজেপিকে কুৎসাকারী, অপপ্রচারের দল, দাঙ্গাবাজের দল বলেও আক্রমণ করেছেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্যের নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বিজেপি।

সোমবার ওই ঘটনার পর থেকেই তৃণমূল শিবির দাবি করছে, বিজেপি ও রাজ্যপাল একযোগে এই কাজ করেছে। বিধানসভায় যা হয়েছে, তা বিজেপি ও রাজ্যপালের ‘গট আপ ম্যাচ’ বলে মুখপত্রে উল্লেখ করেছে তৃণমূল।

সোমবারই অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘বিজেপি যা করেছে, সেটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। এটা বিজেপির পরিকল্পিত বিক্ষোভ। হেরেও ওদের লজ্জা নেই।’

বিজেপির বিক্ষোভের মাঝেই সোমবার ভাষণ পাঠ শুরু করেন রাজ্যপাল। ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পাঠ করেন রাজ্যপাল। বেলা ৩.০৭ মিনিটে রাজ্যপাল বিধানসভা ছাড়েন। তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তেলেঙ্গানায় বাজেট অধিবেশনে বাদ দেওয়া হয় রাজ্যপালের ভাষণ। রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দর্যরাজনের বক্তৃতা এড়িয়ে যায় কেসিআর সরকার। আর সেই ঘটনার সমালোচনা করেছেন বিজেপির শীর্যস্থানীয় অনেক নেতাই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*