রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলাকে বদনাম করা হচ্ছে, বিজেপিকে তুলোধনা মমতার

Spread the love

রাজনৈতিক মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু তার জন্য বাংলাকে বদনাম করে উন্নয়নের টাকা বন্ধ করার সুপারিশের তীব্র ধিক্কার জানাই। বুধবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জমির পাট্টা বিলির অনুষ্ঠান থেকে বিজেপি তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, আলু চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সার বাংলায় তৈরি হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে নিতে হয়। কিন্তু এখন তা দিচ্ছে না কেন্দ্রের মোদি সরকার। ফলে মাথায় হাত কৃষকদের। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপির নেতা কেন্দ্রকে বারবার চিঠি লিখে বাংলাকে বদনাম করার জন্য রাজ্যের প্রাপ্য় পাচ্ছে না রাজ্য। ১০০দিনের কাজের টাকা, সার- কিছুই দিচ্ছে না মোদি সরকার। রাজ্যের প্রয়োজন ২লক্ষ ২০হাজার মেট্রিকটন সার। আর কেন্দ্র দিচ্ছে মাত্র ৭৭ হাজার মেট্রিকটন। এরপরেই গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজনীতির স্বার্থে বাংলাকে বদনাম করা হচ্ছে। এটা লজ্জার“ মমতা বলেন, “আমরাও বিরোধী রাজনীতি করিছে। কিন্তু কখনও মানুষের স্বার্থে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত করিনি।“ ১০০ দিনের কাজ যাঁরা করছে, টাকা পাওয়া তাঁদের অধিকার। কিন্তু কেন্দ্র কোনও প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না।

এরপরেই তোপ দেগে মমতা বলেন, “যারা এসব করছে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। প্রতিদিন যারা বাংলাকে বদনাম করছে, তাদের নাম বলতে লজ্জা করেছে। তাদের ধিক্কার জানাই।“

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যে যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেয় তা অপব্যবহার হচ্ছে বলেও কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। এরপরেই মোদি সরকারকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারও অদ্ভূত। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা না বলে দলের কথায় ওঠা-বসা করছে। মানুষের ভোটে, তাদের উন্নয়নের জন্যেই কেন্দ্রে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছে না- অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

এর আগে এদিন রাজভবনে রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পরেই বিধানসভায় যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানও বাংলাকে সার না দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। বলেন, “আমি সারের দাম নিয়ে কেন্দ্র, পিএমকে চিঠি লিখেছি। সার কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে। সার নিয়ে চিঠি লিখেছি। আমরা সার পাচ্ছি না। আমাদের সঙ্গে যে চুক্তি ছিল, তার পরেও এক তৃতীয়াংশ পেয়েছি। এতে চাষীদের সমস্যা আছে। বিরোধীদের বলব কেন্দ্রের মন্ত্রীকে বলুন।“

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*