অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পথে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকানো অমানবিক কাজ করেছে ইডি। দুবাই যাওয়ার বিষয়ে আগেই ইডিকে জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তখনই বারণ করা যেত। রুজিরাকে আটকানো ও তাঁকে তলবের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও তাদের এজেন্সি রাজকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট জানান, “এক্ষেত্রে ইডি আগেই বলতে পারত তুমি যেও না।“ অর্থাৎ বিমান বন্দরে তাঁকে আটক করার পিছনে পরিকল্পিত নাটক রয়েছে, সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন তৃণমূল সভানেত্রী।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় বালেশ্বরে দুর্ঘটনায় মৃত ৪ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “একটা পঞ্জাবি মেয়ে। ওর মা খুব অসুস্থ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে যে যদি ও কখনও বাইরে যায় তাহলে ইডিকে একটা জানাতে হবে। সেই অনুসারে ও অনেকদিন আগে ইডিকে জানিয়েছিল। তখন ইডি বলতে পারত তুমি যেও না। কিন্তু এয়ারপোর্টে গিয়ে হাতে নোটিশ ধরানো যে ৮ তারিখে তুমি এসো… অমানবিক জিনিস চলছে।“
সোমবার সকালে ২ সন্তানকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে উঠতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা। কিন্তু অভিবাসন পরীক্ষার সময় তাঁকে আটকান ইডির আধিকারিকরা। জানান, দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এর পরই রুজিরাকে ৮ জুন হাজিরা দেওয়ার জন্য নথি ধরান ইডির আধিকারিকরা। এই ঘটনায় মোদি সরকারের কথায় চলা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা।
Be the first to comment