বিজেপিরও পুরনো লোক আছেন। যাঁরা পুরনো ঘরানার মানুষ। আর যে যুবক নেতারা মোদীকে দেখে চলে গিয়েছেন। তাঁদের ফিরে এসে এককাট্টা হয়ে হিন্দুস্তানকে বাঁচাতে, কৃষকদের বাঁচাতে, যুবকদের বাঁচাতে, শ্রমিকদের বাঁচানোর আবেদন থাকল আমার।” বুধবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে হিন্দিতে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘লক্ষ্য একটাই মোদীকে ক্ষমতা থেকে হঠানো।’
বুধবার নবান্নে কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “শুরু থেকে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে আছি। আমাদের অনেক সাংসদ সমর্থন জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন।” দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সিঙ্গুর আন্দোলনের তুলনা টানেন মমতা। বলেন, “যত দিন দাবি আদায় না হল আন্দোলনকে সমর্থন করতে হবে। জোর করে কৃষকদের জমি নেওয়ার বিরোধী আমি। এ রাজ্যে এ জন্য আইনও তৈরি করেছি।”
এর পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় মুখর হন মমতা। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ থেকে কৃষি বিল সবকিছুতেই মোদী সরকারের প্রবল সমালোচনা করেন তিনি। আর এই প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদেরও বার্তা দিলেন তিনি। যা এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। মমতা বলেন, “বিজেপির ও পুরনো লোক আছেন। যাঁরা পুরনো ঘরানার মানুষ। আর যে যুবক নেতারা মোদীকে দেখে চলে গিয়েছেন। তাঁদের ফিরে এসে একাট্টা হয়ে হিন্দুস্তানকে বাঁচাতে, কৃষকদের বাঁচাতে, যুবকদের বাঁচাতে, শ্রমিকদের বাঁচানোর আবেদন থাকল আমার।”
শুধু তাই নয়, দেশের সমস্ত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার আবেদন করেছেন। মমতার কথায়, “অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঐক্যবদ্ধ হন। ফেডারেল স্ট্রাকচার বাঁচানো জরুরি। রাজ্য সরকারদেরও একটা ইউনিয়ন থাকা প্রয়োজন। যেখানে কোনও রাজ্যকে এঁরা হ্যারাস করলে অন্যরা ফাইট করবে।”মমতার মন্তব্য, ‘আমি আবারও দাবি করছি, কৃষকদের এই তিনটে বিল প্রত্যাহার করা হোক।’
Be the first to comment