রাস উৎসবকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে আনতে হবে- বুধবার, শান্তিপুরে বড় গোস্বামী বাড়ির রাস উৎসবে যোগ দিয়ে মন্তব্য় করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়ার জেলাশাসককে এবিষয়ে রাজ্যের পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
৩ দিনের সফরে নদিয়া গিয়েছেন মমতা। এদিন কৃষ্ণনগরে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে শান্তিপুরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। নবদ্বীপের পাশাপাশি শান্তিপুরেও রাস উৎসব চলছে। সেখানে বড় গোস্বামী বাড়িতে রাস উৎসব দেখতে যান মমতা। তিনি বলেন, “জেলাশাসককে বলব, সারা বিশ্বের ইউনেস্কোর একটি ফোরাম বেঙ্গলকে ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন করেছে। তাই যদি হয়ে থাকে, তাহলে রাসমেলাকেও পর্যটক মানচিত্র তুলে আনতে হবে। পর্যটক দফতরের সঙ্গে কথা বলুন”।
শান্তিপুরের বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়ি ৫০০ বছরের পুরনো রাস উৎসব। প্রায় ১৫টি প্রজন্ম ধরে চলছে এই পুজো। সেখানে গিয়ে পুজো দেন, আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরে বলেন, “আমি ব্রজকিশোর গোস্বামীর বাড়িতে এলাম। ও আমার ভাইয়ের মতো। এটা একটা ঐতিহাসিক বাড়ি৷ চিরকালীন প্রাধান্য রয়ে গেছে চৈতন্যদেবের। আমি কৃতজ্ঞ ব্রজদের বাড়িতে এলাম। আমি ইচ্ছা করেই সময় বেছে নিয়েছি। আমি এই প্রথম এলাম, দারুণ অভিজ্ঞতা হল। বিভিন্ন রূপে সকলের পুজো হল। আমি ঘুরে দেখব সবটাই। নদিয়ায় থাকার জায়গা নেই৷ আমি ব্রজকে বলেছি এখানে এসেই থাকব।” রাস মেলা ঘুরে দেখেন মমতা।
তারপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আমি জেলাশাসককে বলব, রাসমেলাকেও রাজ্যের ট্যুরিজম ডেস্টিনেশন ম্যাপে আনুন। পর্যটন দফতরের সঙ্গে কথা বলে নিন। তাঁর ঘোষণাতেই পরিষ্কার, পর্যটনের উন্নতিতে এবার রাসকে হাতিয়ার করতে চলেছেন তিনি। ৮ তারিখ মঙ্গলবার থেকে নবদ্বীপ ও শান্তিপুরের রাস উৎসব শুরু হয়েছে। ১০ তারিখে শান্তিপুরে রয়েছে ভাঙা রাস। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই নদিয়া সফর। বৃহস্পতিবার রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর।
Be the first to comment