রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পুরস্কার পাচ্ছে রাজ্য সরকার, পুরস্কার নিতে বার্লিন যাচ্ছেন মমতা

Spread the love

দুর্গাপুজোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পর বাংলার মুকুটে ফের এক নয়া পালক। রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে এবার বাংলাকে বেছে নেওয়া হল সংস্কৃতির সেরা পীঠস্থান হিসেবে। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গকে এই ‘বেস্ট ডেস্টিনেশন ফর কালচার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। বার্লিনে আগামী বছর ২৩ মার্চ এই অনুষ্ঠান হবে। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বার্লিনে গিয়ে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন, জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

গর্বের সঙ্গে সোমবার এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পরেশনাথের জৈন মন্দিরে প্রার্থনার জন্য গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এই সুখবর সকলের সামনে ঘোষণা করেলন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উপহার দেশের জন্য। রাষ্ট্রসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের ক্ষেত্রে সংস্কৃতির জন্য সেরা গন্তব্যস্থল হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। আপনারা সকলেই এ রাজ্যের পর্যটনের কথা প্রায়ই বলে থাকেন। এবার এই উপহার আপনাদের সকলের জন্য।”

এর আগে দুর্গাপুজোকে বিরল সম্মানে ভূষিত করেছে রাষ্ট্রসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক বিভাগ ইউনেস্কো। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ভূষিত করে নিজেদের UNESCO-র তরফে উল্লেখ করা হয়, “ধর্ম এবং শিল্পকলার মেলবন্ধনের একটি প্রকৃত উদাহরণ বাংলার দুর্গোৎসব। অজস্র শিল্পী, শ্রমিকদের প্রতিভার দ্বারা এই উৎসব সমৃদ্ধ হয়। উৎসবকে কেন্দ্র করে শহর ও শহরতলি এলাকায় বৃহৎ আর্ট ইনস্টলেশন এবং প্যাভেলিয়ন তৈরি হয়। সঙ্গে থাকে ঐতিহ্যবাহী ঢাকের বাদ্যি। ভক্তিভরে আরাধনা হয় দেবী দুর্গার। জাত-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে সকলেই উৎসবের দিনগুলিতে সামিল হন। আর তাই তো দুর্গাপুজোর মধ্যে রয়েছে ‘বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য’-র ছোঁয়া।

আর ইউনেস্কোর এই হেরিটেজ স্বীকৃতি উদযাপনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গত ১ সেপ্টেম্বর জোড়াসাঁকো থেকে থেকে রেড রোড পর্যন্ত মহামিছিলের আয়োজন করা হয়। পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন কলকাতার সমস্ত পুজো কমিটিগুলি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্মান জানানো হয় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। ইউনেস্কোর তরফে এই স্বীকৃতি আমাদের আরও উৎসাহ জুগিয়েছে। এটাই ভবিষ্যতের পাথেয়। আজকের এই মঞ্চ সর্ব ধর্ম-বর্ণের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*