১৮০০ সালের মাঝামাঝি সময়েও নারী শিক্ষা নিয়ে তেমন কথা হত না। সেই সময় মাত্র ২১ জন ছাত্রীকে নিয়ে দেশের প্রথম মেয়েদের স্কুল, বেথুন কলেজিয়েট স্কুল যাত্রা শুরু করে। দেখতে দেখতে সেই স্কুল ১৭৫ বছর পার করে ফেলল। সেই উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবার সেই অনুষ্ঠানেরই সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারী শিক্ষায় বেথুন স্কুলের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেইসঙ্গে এই স্কুলকে বঙ্গরত্ন সম্মানে ভূষিত করার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল বেথুন স্কুলের মূল কর্মসূচির অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিল্প ও নারী কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে মূল অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে ধরেন স্কুলের ইতিহাস ও নারী শিক্ষা প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান।
তিনি বলেন, ‘১৭৫ বছর আগে যে চারাগাছটা জন্মেছিল, সেটাই এখন বটবৃক্ষ, মহীরুহ হয়ে গেছে। যখন বেথুন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন মহিলা শিক্ষার কথা কেউ ভাবতেও পারত না। আমাদের দেশে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পালিত হচ্ছে, আর আপনারা পালন করছেন ১৭৫ বছর।’
মমতার কথায়, এখন সকলে নারীশক্তি নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু ১৭৫ বছর আগে সেই বিষয়ে আলোচনা করাটা সত্যিই অভাবনীয়। মেয়েরা এগিয়ে না আসলে সমাজে উন্নতি হবে না। মেয়েরা এখন যেমন ঘর সংসারও চালায়, তেমন বাইরেও সবকাজই করেন।
অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মমতা, শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, শিক্ষা দফতরের তরফে স্কুলের এই কর্মসূচিতে কী করা যায় তা দেখে নিও। তারপরই মমতা বলেন, ‘আপনাদের আজকের এই দিনটিকে উজ্জ্বল করে রাখার জন্য আমাদের একটি স্মরণীয় পুরস্কার বঙ্গরত্ন বেথুন কলেজিয়েট স্কুলকে প্রদান করার কথা ঘোষণা করছি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রত্যেক মাসেই বেথুন স্কুলের তরফে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
Be the first to comment