শিল্পই রাজ্যের লক্ষ্য। বিনিয়োগের গন্তব্য হোক বাংলা। এই মন্ত্র নিয়েই বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে সেই সম্মেলন পরিচালনা করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের সামনে রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিবেশ তুলে ধরার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধেই। বাংলায় শিল্প বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরলেন তিনি। জানালেন, বাংলার অগ্রগতি ৮টি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল।
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতার ঘোষণা, নিজের ছন্দে এগিয়ে চলেছে বাংলা। আর বিশ্ব দরবারে বাংলাকে শ্রেষ্ঠ আসনে পৌঁছে দিতে নিরন্তর কাজ করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উন্নতির জন্য মূলত ৮টি বিষয়ে নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। গোটা বক্তব্যে সেই আটটি স্তম্ভের উল্লেখের পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাও তুলে ধরেন তিনি।
প্রথম স্তম্ভটি হল পরিকাঠামো তৈরি। রাজ্যজুড়ে সার্বিক পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। একদিকে তৈরি হয়েছে তাজপুর বন্দর। তো অন্যদিকে রয়েছে ডানকুনি থেকে অমৃতসর পর্যন্ত তৈরি ইস্টার্ন ফ্রেট করিডোর। জঙ্গল মহলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে শিল্প পার্ক জঙ্গল সুন্দরী। ২০২৩ সালের মধ্যে জাতীয় গ্যাস পাইপ লাইনের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাও। সিলিকন ভ্যালিতে তৈরি হচ্ছে অনুসারী শিল্পও। রাজ্যে এই পদক্ষেপগুলিই শিল্পক্ষেত্রে পরিকাঠামো আরও শক্ত করছে।
দ্বিতীয় স্তম্ভ শিক্ষা। কন্যাশ্রীর মতো একাধিক প্রকল্প সাহায্য় শিক্ষার উন্নয়নে সাহায্য করছে। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখিত তৃতীয় স্তম্ভ সামাজিক সুরক্ষা। সমাজের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়, মহিলা-সহ বহু মানুষের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বহু প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি দক্ষতা বৃদ্ধি, পরিকাঠামোর প্রসারেও জোর দিচ্ছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে শিল্প-বাণিজ্যে বিনিয়োগ আরও সহজ করতে কর কাঠামো-সহ একাধিক ব্যবস্থাকে সরল করা হয়েছে। সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। চালু হয়েছে ডিজিটালাইজেশনও।
শেষে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, রাজ্যে একটা কর্ম দিবসও নষ্ট হয় না। রাজ্যে কোনও হরতাল হয় না। তাই বিনিয়োগের গন্তব্য হোক বাংলা।
Be the first to comment