বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শেষদিন আজ বৃহস্পতিবার। দু’দিনের এই সম্মেলন গতকাল, বুধবার শুরু হয়েছে নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে ৷ সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন সকাল থেকেই একাধিক মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। দিনের শেষে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সামগ্রিকভাবে এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে কতটা লক্ষ্মীলাভ হল, সে বিষয়ে জানানো হবে।
তবে যেহেতু বুধবার এই মঞ্চে দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি গৌতম আদানিকে দেখা গিয়েছিল, রাজ্যের মানুষ আশাবাদী এবার এই শিল্প সম্মেলন হয়তো ভালো সাফল্য এনে দেবে। দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, তিন বছর আগে এখানে অনুষ্ঠিত শেষ বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে এসেছিলেন দেশের আরেক প্রথম সারির শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। তবে তিনি এলেও সেভাবে আশার আলো দেখাতে পারেননি ।
এবার গৌতম আদানি কলকাতায় প্রথমবার এসে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন যে তিনি রীতিমতো কলকাতা নিয়ে হোমওয়ার্ক করে এসেছেন এখানে। তাঁর বক্তব্যে আদানি বাংলার মনীষী থেকে মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তথ্য তুলে ধরেছেন, তিনি বাংলার সামাজিক প্রকল্পগুলির ভূয়ষী প্রশংসা করেছেন ৷ তা দেখেই অনেকেই মনে করছেন আগামিদিনে তাঁর সংস্থার বিনিয়োগের গন্তব্য হতে চলেছে বাংলা।
বাংলায় আদানির মতো দেশের প্রথম সারির শিল্পপতির উপস্থিতি রাজ্যের বিনিয়োগ মানচিত্রকে বদলে দিতে পারে, এটা ভালোভাবেই জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একে কাজে লাগিয়ে তিনি যে লক্ষ্মীলাভের কোনও সুযোগ হাতছাড়া করবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সুযোগ কতটা আসবে, সেই দিকেই নজর সকলের ৷ এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা ৷
Be the first to comment