ভবানীপুরের রেকর্ড জয়ের পর সোমবার শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সী।
সোমবার পুজো দেওয়ার পরেই হরিশ মুখার্জি রোডের গুরুদ্বারে যান তিনি। সেখানে প্রার্থনা করেন এদিন। উল্লেখ্য, শনিবার ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপরই লখিমপুরে কৃষকমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। ডেপুটি হোম মিনিস্টারের ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। কোথাও গুলি চালিয়ে মেরে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও গাড়ি চাপা দিয়ে। আর তারপর ১৪৪ ধারা জারি করে দিচ্ছে। সোমবার তৃণমূলের তরফ থেকে চার সদস্যের দল গিয়েছেন সেখানে। যার মধ্যে রয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব। কিন্তু, ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে তৃণমূলের তরফে পাঁচ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, আবীর বিশ্বাস, সুস্মিতা দেব, প্রতিমা মণ্ডলকে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ এরপরই তিনি আক্রমণ করেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ৷ আমার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা নেই ৷ ওরা (বিজেপি সরকার) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না ৷ ওরা শুধু স্বৈরতন্ত্র চায় ৷ এটাই কি ‘রাম রাজ্য’?’’
এই প্রশ্ন তোলার পর তিনি উত্তরপ্রদেশকে খুনের রাজ্য বলেও দাবি করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘না, এটা হল খুনের রাজ্য ৷’’ একই সঙ্গে দেশে অন্য রাজ্যে থাকা বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন মমতা ৷ সর্বত্রই ১৪৪ ধারা জারি করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন ৷
Be the first to comment