সময়ের ব্যবধান মাত্র মিনিট কুড়ির। বুধবার নরেন্দ্র মোদী তীব্র তোপ দেগেছেন কাঁথি থেকে। বহিরাগত তত্ত্ব নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বিষ্ণুপুর থেকে তারই উত্তর ফেরালেন মমতা। স্পষ্ট কথায় বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর চোখে কারা বহিরাগত।
এদিন বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, ওন্দায় মোট তিনটি জনসভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথম সভাটি থেকেই মোদীর কথার সূত্র টেনেই যেন তিনি বলেন, যারা ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় আসে, থাকে তাদের বহিরাগত বলি না। বহিরাগত বলি যারা ভোটের আগে আসে তাঁদের। মমতার কথায়, বহিরাগত গুণ্ডাদের ওরা নিয়ে আসছে বাংলায়। বাংলায় যারা থাকে তাদের আমরা বহিরাগত বলি না। সে যেখান থেকেই আসুক। রাজস্থানী হোক, মারোয়ারি হোক, বহু মানুষ এখানে এসে থাকছেন, কাজ করছেন, ওরা বহিরাগত নয়। কিন্তু ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের পাঠিয়ে দিচ্ছে এখানে। পানবাহার খেতে খেতে আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। এদের আমরা বহিরাগত বলি।
তবে এদিন এখানেই থামেননি মমতা। আক্রমণাত্মক মেজাজে তিনি বলে চলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো মিথ্যেবাদী দেখিনি। চেয়ারটাকে সম্মান করি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির মতো মিথ্যেবাদী দেখিনি। উত্তরপ্রদেশের আইপিএস অফিসাররা চাকরি ছেড়ে দিচ্ছে। পাঁচতারা হোটেল থেকে খাবার নিয়ে এসে বলছে আমি তফশিলি বন্ধু। তফশিলিদের অত্যাচার করো তোমরা। কৃষকরা রাস্তায় পড়ে আছে এক বছর ধরে। যাতে রাস্তায় হাঁটতে না পারে, তাই পেরেক পুঁতে দিয়েছে।
এদিনও মমতার বক্তব্যে উঠে আসে গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, “বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছি আর ৯০০ টাকার গ্যাস। যে ৫ হাজার টাকা মাইনে পায়, তাঁকে ১৮০০ টাকা গ্যাস কিনতে গেলে সে খাবে কী! সবটাই মোদীর গ্যাসবেলুন। মোদীর পুরনো প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিয়ে মমতার প্রশ্ন, ১৫ লক্ষ টাকা কেউ পেয়েছেন?
প্রসঙ্গত এ দিন মোদী তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, ভারতে কেউ বহিরাগত নয়। তাঁর কথায় আসে রবীন্দ্রনাথের উদাহরণ,জাতীয় সঙ্গীতের প্রসঙ্গ। মোদী বলেন, বঙ্কিমবাবু, রবি ঠাকুরের, মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিতে আমাদের বহিরাগত বলছেন। এখানে কোনও ভারতবাসীই বহিরাগত নয়।
Be the first to comment