“ভারত নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধের সমাধান করে দিক”, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তিনি। উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমি কোনও দেশের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাই না। আমরা বিশ্ব শান্তির পক্ষে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে আজই চিঠি লিখেছি। একসময় ভারত বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। এবারও ভারত নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধের সমাধান করে দিক। শান্তির মধ্যে দিয়ে, আলোচনার মধ্যে দিয়ে যে কার্যসিদ্ধ হয়, মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে রক্তের মধ্যে দিয়ে তা হয় না।” এছাড়া সেন্ট্রাল পার্কের নাম পরিবর্তন। এবার থেকে ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’ হিসাবেই পরিচিত হবে পার্কটি। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
এদিন থেকেই শুরু ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এদিন দুপুরে বইমেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথমেই রাজ্য পুলিশের স্টলে পৌঁছেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরো স্টলটি ঘুরে দেখেন তিনি। প্রতিবারের মতো এ বছরও বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।এ বছর বইমেলা-এর থিম বাংলাদেশ। ফলত উদ্বোধনী মঞ্চে ছিলেন এপার-ওপার দুই বাংলার বিশিষ্ট লেখক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এ বছর বাংলাদেশ আমাদের থিম কান্ট্রি।আমি কখনও দুই বাংলায় প্রভেদ করতে পারি না। যদিও বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তা একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য। দুই বাংলার সম্পর্কের সীমানা দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া যায় না।”
তাঁর সংযোজন, “বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিনে জন গণ মন অধিনায়ক তৈরি করেছেন। ভারতবর্ষের জাতীয় সংগীত তা। অন্যদিকে, ওপার বাংলার জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা। সেটাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। বইমেলা ছাড়া বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য আর কোথায় পাবেন? একবার বইমেলায় আসতেই হবে। মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে মিলন মেলা প্রাঙ্গণ তৈরি হয়ে যাবে। তবে আপনাদের যখন এই প্রাঙ্গণ পছন্দ, তাহলে এখানেই বইমেলা হবে। এখানকার নাম বইমেলা প্রাঙ্গণ নাম দেওয়া হোক। যেখানে সব মেলাই করা যাবে।”
করোনা কাঁটা পেরিয়ে আবারও আয়োজন হয়েছে বইমেলার। আনন্দের সঙ্গেই মেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন বই বিক্রেতারা। আগের দিনই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামায় ক্ষতিগ্রস্থ অনেকেই। এক স্টল মালিকের বলেন, ”আমরা সবে বইগুলি গাড়ি থেকে নামিয়ে স্টলে রাখতে শুরু করেছি। এমন সময়ে বৃষ্টি শুরু হলো। তবে আমরা খুব তাড়াতাড়ি সব বই স্টলের ভিতরে ঢুকিয়ে নিতে পেরেছি।”
Be the first to comment