কলকাতা পুরসভা ভোটের প্রচার তুঙ্গে। উত্তর কলকাতার পর বৃহস্পতিবার দক্ষিণে জোড়া সভা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাঘাযতীনে প্রচারসভায় মঞ্চ থেকে নেত্রী বলেন, ‘কলকাতা পুরসভায় যা কাজ হয়েছে, ভূ-ভারতে কেউ করেনি। বাংলার কারও সার্টিফিকেটের দরকার নেই কারণ, বাংলা জানে কিভাবে কাজ করতে হয়।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা- ‘২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে জলের লাইন।’ এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’জলকর বসানোর জন্য চাপ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, আমি রাজি হয়নি। বলে দিয়েছি কোনও জলকর নেওয়া যাবে না। দেশের প্রায় সব জায়গায় নেওয়া হয় জলকর কিন্তু আমি রাজি হইনি। বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে টাকা না পাওয়ার ভয় দেখালেও দমিনি আমি।’
উদ্বাস্ত কলোনি নিয়েও বড় ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘উদ্বাস্ত কলোনি উচ্ছেদ করা যাবে না। আমি কেন্দ্রকেও বলে দিয়েছি।’ উদ্বাস্ত কলোনির বাসিন্দাদের আইনত পাট্টা দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঘাযতীনের মঞ্চে থেকে UNESCO সম্মানে উচ্ছ্বাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বলেন, ‘ কালকে সবথেকে বড় উপহার পেয়েছে। আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আমাদের দুর্গাপুজো বিশ্বে বন্দিত। বিশ্ব সেরা। ২০১৬ থেকে অনেক চেষ্টার পর পুজো কার্নিভাল শুরু করি।’ একইসঙ্গে বিরোধীদেরও কটাক্ষ নেত্রীর বলেন, ‘ অনেকে বলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজো করতে দেয় না। আজ তাদের মুখে চুন কালি পড়েছে। বাংলার পুজো বিশ্বের দরবারে সম্মানিত।’
বিরোধীদের এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ কলকাতার অবস্থা দেখে অনেকে ঈর্ষা করেন আমায়। কিন্তু, আমি যখন শহরে নীল-সাদা রঙ করা শুরু করেছিলাম। তখন অনেকে কটাক্ষ করে বলত আর্জেন্টিনা বানাচ্ছে…। এখন যখন মুম্বই যাই, দিল্লি যাই, সেখানেও দেখি এখন নীল সাদা রঙ হচ্ছে। তাহলে আমি করলে আর্জেন্টিনা আর ওরা করলে…।’ এদিন তিনি নীল-সাদা রঙ ব্যবহারের আসল কারণও ব্যাখা করেন। নেত্রী বলেন, ‘নীল-সাদা আমার দলের কালার নয়। এটা আসলে আকাশের প্রতীক। আকাশ সীমানাহীন। আকাশের কোনও সীমানা নেই।’
বৃহস্পতিবার বুধবার জনসভার শুরুতেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ আমরা কোনও কাজ ফেলে রাখি না। দুঃস্বপ্নের নয়, কলকাতা এখন স্বপ্নের শহর। যে বাইরে থেকে আসে সেই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে যায় শহরকে। বেঙ্গালুরু-মুম্বই-দিল্লি-চেন্নাই যেখানেই যান না কেন এত ভালো সাজানো শহর আর পাবেন না। ২৬০ কোটি টাকা খরচ করে টালা ব্রিজ করা হচ্ছে। এছাড়া মেয়েদের জন্য় সবথেকে নিরাপদ শহর কলকাতা।’ নেত্রী বাংলার প্রশংসায় বলেন, ‘দিল্লিতে পয়সা দিয়ে জল কিনতে হয়। কিন্তু, এখানে জলের জন্য কোনও টাকা লাগে না। জল ফ্রি, রেশন ফ্রি।’
Be the first to comment