এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে হামলা। আর এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার শরদ পাওয়ারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। মহারাষ্ট্র রাজ্য পরিবহণ নিগমের (এমএসআরটিসি) কর্মীদের একাংশ এই বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরেই যদিও শতাধিকেরও বেশি গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিকদলগুলি। তবে এভাবে বর্ষীয়ান নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় একদিকে কড়া নিন্দা জানিয়েছেন অপর দিকে কড়া শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে টুইটারে কার্যত গর্জে উঠেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি লিখছেন, দেশের অন্যতম প্রবীণ জননেতা শরদ পওয়ার। আর তাঁর বাড়িতেই এভাবে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করছি। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার আহ্বানও জানিয়েছেন মমতা। তিনি আরও লিখেছেন, এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের যে ঘোষণা করা হয়েছে তা অবশ্যই স্বাগত জানানোর মতো।
পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবীশ। একই সঙ্গে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা এবং পুলিশ বিভাগকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপির এই নেতা। তাঁর দাবি এই ঘটনা পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে ঘটেছে।
অন্যদিকে, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে এখনও পর্যন্ত ১১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী এই ঘটনায় অভিযুক্তদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন রাখেন। তবে একসঙ্গে এতজনকে আদালতে তোলা নিয়ে কার্যত বেশ কিছু নাটক হয়।
কিন্তু একসঙ্গে এতজনকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন কেন? সেই বিষয়ে প্রশ্ন করে আদালত। সেক্ষেত্রে আইনজীবী জানান, আন্দোলনের সময়ে কেউ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তা দেখার প্রয়োজন আছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী জখম হওয়ার ঘটনাও আদালতকে জানানো হয়।
তবে এদিন এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজ চালানোর চেষ্টা চলছে। ঘটনার সূত্রপাত গত কয়েকদিন আগে। একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ-আন্দোলন দেখাচ্ছেন সে রাজ্যের পরিবহণকর্মীরা। মহারাষ্ট্রের পরিবহণ দফতর এনসিপির কাঁধেই।
ফলে এই অবস্থায় পরিবহণ কর্মীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে শরদ পাওয়ারের বাড়ির উপর। অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে জুতো ও ঢিল ছোড়া হয়। এমনকি শরদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয় বলে অভিযোগ। তবে একাংশের অভিযোগ, এই বিক্ষোভের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে। যদিও এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।
Be the first to comment