শনিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে হাজির অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। তবে তিনি একা নন, হাজির তাঁর বিরাট ব্যাটেলিয়ন। মুখ্যমন্ত্রীও দারুণ খুশি। কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন টলিপাড়ার তরুণ তুর্কীদের দল বেঙ্গল টাইগার্স। আর ওই দলেরই অধিনায়ক ছিলেন যিশু সেনগুপ্ত। ফাইনালে কর্ণাটক বুলডোজারকে ১২ রানে হারিয়ে এই প্রথম কাপ জিতেছেন তাঁরাই। তাঁদের এই প্রাপ্তিতে সেলিব্রেশন হবে না তা কী করে হয়?
মুখ্যমন্ত্রীই চা পানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যিশু ও তাঁর টিমকে। সেই মতো যিশু তো বটেই, সৌরভ দাস থেকে শুরু করে বনি সেনগুপ্ত, রাহুল মজুমদারসহ টিমের বাকি সদস্যও সময়মতো পৌঁছে যান সেখানে। এঁদের মধ্যে বেশ কিছুজনের সঙ্গে আগেই আলাপ ছিল মমতার। যাঁদেরকে চিনতেন না তাঁদেরকেও দায়িত্ব সহকারে আলাপ করিয়ে দেন অধিনায়ক। পায়ে হাত দিয়ে করেন প্রণামও। সকলের হাতে পুষ্পস্তবকও তুলে দেন মমতা। হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যদিও ট্রফি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে যিশু দিতে গেলে মমতা বলেন, “এটা টলিউডে আমাদের আর্কাইভে রাখবে। আর একটা রেপ্লিকা করে দিও। সেটা আলিপুর মিউজিয়ামে রেখে দিও সাধারণের জন্য।”
এ বছর ইডেনে কোনও ম্যাচ খেলেনি বেঙ্গল টাইগার্স। দেশের ও দেশের বাইরের তাবড় স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেললেও ঘরের ছেলেদের ঘরের মাঠেই জায়গা হয়নি। পরের বছর যাতে এ রকমটা না হয়, সে আবদার মুখ্যমন্ত্রীকে করতেই মমতা বলেন, “সে কী! খেলো না, ইডেনে খেলো। এখন থেকেই ইডেন বুক করে দিতে হবে। এটা তো তোমাদের প্রাপ্তি।” পরের বছর তাঁদের প্রথম খেলা বলিউডের সঙ্গে। সেই খেলা যাতে ইডেনেই হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপরেই দেন মমতা। যোগ করেন, “আগামী বছরেই ইডেনে খেল্বে তোমরা। এখন থেকেই বুকিং করে রাখবে।” এ বছর প্রায় প্রতিটা ম্যাচই জিতেছে বাংলার ক্রিকেট টিম। আগামী বছরেও কি এই একই ফর্ম ধরে রাখতে পারবেন তাঁরা? সকলের নজর এবার সেদিকেই।
Be the first to comment