তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শপথ নিয়েই তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই তাঁর প্রথম লক্ষ্য। আর শপথের কয়েক ঘন্টা পরই সাংবাদিক বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন একগুচ্ছে বার্তা দিলেন তিনি। মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন তিনি।
রাজ্যে কোভিড বেড ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ৮৭ হাজার বেড রয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে আরও তিন হাজার বেড বাড়ানো হবে। ৯০ হাজার বেড রাখা হচ্ছে। মমতা বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন ২ লক্ষ ভ্যাকসিন দিচ্ছি। দ্বিতীয় ডোজকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখানে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি, সেখানে কয়েক লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের অক্সিজেন নিয়ে অন্যান্য রাজ্য চলে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সেখান থেকেই আপাতত অক্সিজেন আনছি।’
অনেক সময় করোনা আক্রান্তের দেহ পড়ে থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘এর জন্য সরকার দায়ী নয়। আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট আসতে ৭২ ঘণ্টা লাগে। তাই অনেক সময় দেহ নিয়ে যাওয়া যায় না। আমরা ঠিক করেছি অ্যান্টিজেন টেস্ট করে নেব, যা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হয়ে যায়। তারপর সৎকারের ব্যবস্থা করব। তিন দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।’
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জেলায় জেলায় কোয়াক ডক্তার আছে। কোয়াক ডাক্তারদের গাইডলাইন দেবে রাজ্য। গ্রামে কেউ আক্রান্ত হলে কী কী করা উচিৎ, তা বলে দেওয়া হবে। যাতে গ্রামে কেউ আক্রান্ত হলে প্রাথমিক চিকিৎসা তারা শুরু করতে পারবে।
এছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কিছু কমিউনিটিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান,পরিবহনকর্মী, সাংবাদিক ও হকারদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, কারণ এরাই মানুষের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করেন। মমতা আরও জানান, একসঙ্গে গাদাগাদি করে এত লোক আসার ফলে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই আগামিকাল থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মেট্রো-সহ অন্যান্য পাবলিক সরকারি ও বেসরকারি যানবাহন কমিয়ে ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হচ্ছে।
Be the first to comment