আজ বিকেলেই রাজধানীতে মমতা, মুখোমুখি হতে পারেন মোদীর সঙ্গে, সোনিয়ার সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা

Spread the love

নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কের আঁচে উত্তপ্ত বাংলা। এর মধ্যেই রাজধানীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ দিনের দিল্লি সফরে ঠাসা কর্মসূচি। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দিল্লির বাসভবনে লোকসভা ও রাজ্যসভার দলীয় সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

উল্লেখ্য, শিক্ষক দুর্নীতিতে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোরতর জটিল। তার মধ্যে কিছুদিন পরেই আবার উপরাষ্ট্রপতি ভোট। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টায় দিল্লি পৌঁছবেন মমতা। এরপর তিনি ৭ মহাদেব রোড চলে যাবেন।

উল্লেখ্য, এই ৭ মহাদেব রোডই এখন দিল্লিতে তৃণমূলের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকদের কথায়, সুখেন্দুশেখর রায়ের বাসভবনই এখন নানান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। গতবার দিল্লি সফরের সময়ে কোভিড বিধি থাকায় তিনি যেতে পারেননি। এবার পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে ইতিমধ্যেই স্পিকারের সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে। দেখা করতে পারেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও। এই সাক্ষাৎও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

তবে পর্যালোচকরা এটাও বলছেন, সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের দুটি সত্ত্বা রয়েছে। এক রাজনৈতিক, দুই ব্যক্তিগত। রাজনৈতিক মতাদর্শ তাঁদের আলাদা। বর্তমানে ইডি ইস্যুতে কংগ্রেসের বিক্ষোভও তার নিদর্শন, জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের পাশে থাকেনি তৃণমূল। তৃণমূল পার্লামেন্টে অন্য বিষয়কে ইস্যু করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের খাতিরেও সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও। এটিকে হাতিয়ার করেছে বঙ্গ বিজেপি। নিয়োগ বিতর্কে কোটি কোটি টাকা বিতর্কের ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলায়। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্লেষকদের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তির জালে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে শাসকদল। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর অন্য ইঙ্গিতও বহন করছে। তেমনটাই দাবি বিশ্লেষকদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*