দেউচা পাচামি নিয়ে গলছে বরফ, গ্রামবাসীদের দাবি পূরণের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

Spread the love

দেউচা পাচামিতে প্রস্তাবিক কয়লা খনি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের একাংশের চাপা ক্ষোভ ছিল। সেই প্রেক্ষিতেই একাধিক দাবি নিয়ে বুধবার নবান্নে পৌঁছেছিলেন বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার প্রতিনিধিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর অবশ্য অনেকটাই বরফ গলল। এই আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছে মহাসভা।

প্রস্তাবিত কয়লা খনি অঞ্চলের ৩৬টি গ্রামের প্রতিনিধি নিয়ে তৈরি এই মহাসভা। এদিন ২০ জনের একটি দল নবান্নে আসে। তাঁদের মধ্যে সাদী হাঁসদার নেতৃত্বে ৯ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। ভুল বোঝাবুঝি মেটাতেই মূলত এই সাক্ষাৎ। মহাসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা এই প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছে যাবে। জানা গিয়েছে, মহাসভার প্রতিনিধিরা বেশ কিছু দাবি-দাওয়া রাখেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যার মধ্যে অন্যতম হল মহাসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার এবং ক্ষতিপূরণ।

পাশাপাশি পাথর খনি এলাকায় মাফিয়া চক্র যারা চালাচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও করা হয়। ময়নামতীর সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছিল, তার বিচার চাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। বলেন, জমি অধিগ্রহণের জন্য সেরা প্যাকেজই দেওয়া হবে।

এদিন আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্য সচিবও। আন্দোলনকারীদের প্রকল্পের সমস্ত খুঁটিনাটি বুঝিয়ে বলেন মমতা। দেউচা পাচামি খনি প্রকল্প হলে রাজ্য সরকার কী কী প্যাকেজ দেওয়ার কথা ভেবেছে, তা বিস্তারিত জানানো হয়। শুধু তাই নয়, গোটা প্রকল্পটি শিল্পের ক্ষেত্রে কতটা ইতিবাচক, সেই বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রী বোঝান আন্দোলনকারীদের।

দেউচা পাচামি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই আলোচনা ইতিবাচক বলেই দাবি করেছেন মহাসভার প্রতিনিধিরা। গ্রামবাসীরা কী চাইছেন, তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। উলটোদিকে রাজ্য সরকারও এই প্রকল্প নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে।

তবে আন্দোলনকারীদের তরফে এই বৈঠককে স্বাগত জানানো হলেও একাংশ অবশ্য দাবি করেছে, তারা এই ধরনের প্রকল্প চায় না। তারও উত্তর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আপনারা না চাইলে কিন্তু ওই এলাকায় যে পাথর খাদানগুলো রয়েছে, সেগুলো বিপজ্জনক। ক্ষতিকর।” আলোচনার পর তাই আন্দোলনকারীরা জানান, তাঁরা কীভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়াতে চান, সে বিষয়ে লিখিতভাবে জানাবেন নবান্নকে। প্যাকেজ হিসেবেই বা কী দাবি তাঁদের, তা জানাবেন। তবে এই আলোচনায় ভুল বোঝাবুঝি অনেকটাই মিটেছে বলেই সূত্রের খবর।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*