এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি ঘোষণা করলেন, বেআইনি বাজি কারবার রুখতে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে বাজি কারখানার ক্লাস্টার তৈরি করবে রাজ্য। এ বিষয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কমিটি সব দিক খতিয়ে দেখে দু-মাসের মধ্যে তাঁকে রিপোর্ট দেবে। সেই অনুযায়ী কাজ এগোবে। একই সঙ্গে বাজি বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা সাহায্যের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়।
শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ এগরার খাদিকুলে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি জানান, ‘‘এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গেছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধুমাত্র গ্রিন ক্র্যাকারের ক্লাস্টার তৈরি হবে ফাঁকা জায়গায়। তাতে চাকরিটাও বাঁচবে। এমন দুর্ঘটনা হবে না। শব্দবাজি কারখানা অবৈধ। লোভে পড়ে অনেকে এই বাজি তৈরি করতে যান। তাতে প্রাণহানি হয়।’’
নিহতদের পরিবারের হাতে আড়াই লক্ষ করে টাকার সাহায্যের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবার পিছু একজন করে হোমগার্ডের চাকরি চাকরি নিয়োগ পত্র তুলে দেন। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ছোটদের লেখাপড়া চালানোর অসুবিধা হলে সেটাও দেখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পাশাপাশি বেআইনি বাজি কারখানা রুখতে স্থানীয় মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান এই ধরনের কোনও কারখানার খবর পেলে সোজাসুজি পুলিশকে জানাতে। স্থানীয় থানা যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তিনি সেই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবেন। ইতিমধ্যেই এগরার ওসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, এই ধরনের বাজি তৈরি হয়ে তা পাশের রাজ্য ওড়িশায় চলে যাচ্ছে। ফলে এদিন যাঁরা হোম গার্ডের চাকরি পেলেন, তাঁদের রাজ্যের সীমানা অঞ্চলে পোস্টিং দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এগরা বাজি বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত ভানু বাগকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়েছে তার পরিবারেরই দুজনকে গ্রেফতার করে এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে চাইছে পুলিশ।
Be the first to comment