গোয়ার ঘরে ঘরে দলের প্রতীক পৌঁছে দিতে পেরে খুশি মমতা

Spread the love

২০২৪-কে পাখির চোখ করে বাংলার বাইরে সংগঠন তৈরিতে আগেই মন দিয়েছেন মমতা। সেই লক্ষ্যেই গোয়া, ত্রিপুরায় কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল। তবে শুধু ওই দুই রাজ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে, দিল্লিতে বিকল্প তৈরি করতে তৃণমূল যে বদ্ধপরিকর, এ দিন তা আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিরোধীদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, দিল্লিতে বিকল্প তৈরি হলেই বিজেপির দিন শেষ হয়ে যাবে। বিকল্প তৈরি করতে অন্যান্য দলের সঙ্গে অনেক আগেই কথাবার্তা শুরু করেছেন মমতা। এরই মধ্যে সমাজবাদী পার্টি তথা অখিলেশ যাদবের প্রচারে উত্তর প্রদেশেও গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি পুরভোট নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। আর সে সব কেটে যেতেই মমতা যে নতুন করে সর্বভারতীয় স্তরে সংগঠন সাজানোয় মন দিয়েছেন, তা স্পষ্ট।

বিরোধী তথা গেরুয়া শিবিরকে বার্তা দিয়ে এ দিন মমতা বলেছেন, ‘দিল্লিতে বিকল্প নেই বলে আছিস। বিকল্প তৈরি হলে আর থাকবি না।’ যে দিন বিকল্প তৈরি হবে, সে দিন ‘ঘুঘুর বাসা ভেঙে যাবে’ বলেও উল্লেখ করেছেন নেত্রী। পাশাপাশি মোদী সরকারের বিকল্প তৈরি করার বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘বিকল্প তৈরি করতে হবে। শুধু মুখে বললে হবে না।’ নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মনিপুর, অসমে সংঠনের কাজে জোর দিতে হবে বলেও বার্তা দিয়েছেন দলের কর্মীদের।

এবার গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করেছে তৃণমূল। বুধ ফেরৎ সমীক্ষা দেখে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, কিং মেকার হতে পারে তৃণমূল। তবে, গোয়ায় যেই জিতুক, তৃণমূলের প্রতীক যে মানুষ চিনেছে, তাতেই খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মমতা বলেছেন, ‘হার জিতটা বড় কথা নয়। তিন মাসের মধ্যে যে ঘরে ঘরে তৃণমূলের প্রতীক পৌঁছে গিয়েছে এটাই আসল।’ গোয়ার মানুষ যে তৃণমূলকে গ্রহণ করেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা। উত্তর প্রদেশের মানুষকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।

সপার প্রচারে পরপর দুবার উত্তর প্রদেশে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিদিনে অন্যান্য রাজ্যেও যে যাবেন, মঙ্গলবারের দলীয় বৈঠক থেকে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তবে সব রাজ্যে লড়াই নয়, কোনও কোনও রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলিকে বন্ধুত্বপূর্ণ সমর্থন করবেন বলেও বার্তা দিয়েছেন তিনি।

রাজ্য বিজেপিকে বার্তা দিতেও পিছপা হননি মমতা। নাম না করে ফের একবার শুভেন্দুকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘আগে থেকেই বলে কেউ বেড়াচ্ছেন উত্তর প্রদেশে জিতলে নবান্নে ঝড় তুলব। নিজেদের ওয়ার্ডে ঝড় তুলতে পারে না, আবার বড় বড় কথা।’ আর এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা ঝড় তুললে আমরা টর্নেডো তুলব। তোমরা টর্নেডো তুললে আমরা তুফান তুলব।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*