প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১০ ডিসেম্বর পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানবিধাকির দিবস। সেই উপলক্ষ্যে এবার দেশবাসীর উদ্দেশে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইটে তিনি লেখেন, ‘এ বছর মানবাধিকার দিবসে কয়েকটি পণ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। চলুন না, আমরা হিংসা এবং অসাম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। একজোট হয়ে পরস্পরের জন্য লড়াই করি এবং অবশ্যই একে অপরের পাশে দাঁড়াই। একসঙ্গে মিলে যুদ্ধটা করলে আমরা মানবাধিকার খর্ব করে এমন যে কোনও শক্তিকে পরাস্ত করতে পারব। এবারের মানবাধিকার দিবসে মানুষের অধিকারটাই সর্বাগ্রে রাখা দরকার।’
প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালিত হয়। ১৯৪৮ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপিত হয় দেশে। ওই বছর আজকের দিনেই মানুষের অধিকারকে মান্যতা দিয়েছিল। আর তারপর থেকেই এদিনটি মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দীর্ঘদিন ধরেই এই দিনে মানবাধিকার রক্ষার বার্তা দিয়ে থাকেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হল না।
তবে কিছুদিন আগেই মুম্বইয়েও বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন মমতা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত করার কথাও বলেছিলেন। এছাড়াও বিশিষ্টদেরও একজোট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সাধারণকেও মানবাধিকার ইস্যুুতে এক হওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
অন্যদিকে, এদিনই মানবাধিকার প্রসঙ্গে রাজ্যকে তোপ দাগেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তাঁর দাবি, বাংলায় সাধারণের ক্ষমতা হরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রকাশ্যেই মানবাধিকার হনন করা হচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা রাজনীতিকদের হয়ে কাজ করছেন। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার সাহস অবধি পাচ্ছে না। প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সঠিক রাখার ক্ষেত্রে মানবাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
Be the first to comment