তৃণমূলে নবজোয়ারের শেষ দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সভা থেকে এক তিরে বিরোধীদের বিদ্ধ করলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের জামানত জব্ধ করার ডাক দিলেন মমতা। একই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের মোদি সরকারকে দিল্লি থেকে উৎখাত করার হুঙ্কার দেন মমতা। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েতে ৪ বিরোধীর জামানতজব্দ করুন, ২৪-এ মোদিকে দিল্লির গদি ছাড়া করব।
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। কিন্তু বাকি জায়গায় শান্তিতেই মনোনয়ন জমা পড়ে। সেই প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এতটা শান্তিপূর্ণ অতীতে কখনও হয়নি”। বিগত বাম বা তারও আগে কংগ্রেস জমানার কালো দিনের কথা স্মরণ করান তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই সময়ের নৃশংস আক্রমণের কথা উল্লেখ করে মমতা বলনে, কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের ফায়দা করার জন্য উস্কানি দিচ্ছে। যার জেরেই কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে, সেই সন্ত্রাসের সঙ্গে তৃণমূল কোনও যোগ নেই বলে জানান তৃণমূল সভানেত্রী। তিনি বলেন, “ভাঙড়ের ঘটনা কিছু গুন্ডা করেছে। তৃণমূল করেনি।”
এদিন, তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার শেষ দিনে কাকদ্বীপের জনসভা থেকে একই বন্ধনীতে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিকে রেখে আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর নিশানায় ছিল আইএসএফ-ও। তবে সরাসরি নওশাদ সিদ্দিকি বা তাঁর দলের নাম করেননি তৃণমূল সভানেত্রী। পরিসংখ্যান তুলে তিনি বলেন, “২ লক্ষ ৩১ হাজার মনোনয়ন জমা পড়েছে। এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে কখনও হয়নি।” মমতার কথায়, “রাজ্যে ৬১ হাজার বুথ। সেখানে মাত্র দু’টো ঘটনা ঘটেছে। তা দেখিয়ে বলছে ঢাল নিয়ে, তরোয়াল নিয়ে চলে এসো। এসে কী করবে? ক্যাঁচকলা করবে!“ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সারা রাজ্যে ভোট করার বিষয়ে মমতা জানান, ২০১৩-তেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কিন্তু ৩৯ জনের মৃত্যু হয় সেবার। বাম আমলেও ২টি নির্বাচন- ২০০৩ সালে ৭০ জন ও ২০০৮ সালে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়।
এরপরেই সরাসরি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃমূল সুপ্রিমো বলেন, “দু’টো ঘটনা ঘটেছে, আর তার জন্য উঁচিয়ে বসে আছে কেন্দ্র। মণিপুরেও তো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়েছে। কী হয়েছে সেখানে? মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
Be the first to comment