কালীঘাটে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি যোগ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে লোকসভা ভোট নিয়ে ওই বৈঠকে অভিষেক প্রথমে কিছু বলতে চাননি। পরে দলনেত্রীই তাঁকে বলেন,”তুই এসেছিস যখন কিছু বল।” নেত্রীর নির্দেশ পেয়ে জেলা নেতাদের নবজোয়ার যাত্রার অভিজ্ঞতার কথা বলেন অভিষেক।
তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন এবং প্রচার বিরোধীদের তরফে চালানো হচ্ছিল। সেই প্রচারের মধ্যে এদিন কালীঘাটের বৈঠকে অভিষেকের যাওয়াটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আসলে ইদানিং নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের বাইরে সেভাবে সক্রিয় ছিলেন না অভিষেক। এদিন বৈঠকে গেলেও প্রথমে কথা স্ট্র্যাটেজি নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। পরে দলনেত্রীই তাঁকে বলেন, “তুই এসেছিস যখন কিছু বল।”
এরপরই অভিষেক জেলার নেতাদের বলেন, আর ঘরে বসে রাজনীতি নয়। এখনই মাঠে নেমে পড়ুন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে। ওরা আমাদের চোর বলছে। এজেন্সি দিয়ে ম্যালাইন করতে চাইছে। অথচ ওরা সব ডাকাত। ওরা চোর বললে, ওদের ডাকাত বলুন। ‘তৃণমূল নবজোয়ার’ কর্মসূচির অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন তিনি। পরামর্শ দেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সহ নানা ইস্যুতে আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। জেলা নেতাদের অভিষেক বলেন, “পঞ্চায়েতের আগে যে ভাবে আন্দোলনে ঝাঁঝ বাড়িয়েছিলেন। সেটা কম মনে হচ্ছে। বাড়ান।” বৈঠক শেষে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নেত্রী যা নির্দেশ দেবেন, সেটাকে শিরোধার্য মেনেই আগামী দিনে কাজ করবেন তিনি। অভিষেক বলেন, “বলবেন দিদি, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লড়াই লড়তে হবে। যেখানে আমাকে দিদি যেতে বলবেন আমি সেখানেই যাব।”
এদিকে তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের মুখপাত্র বদল করা হবে লোকসভার আগেই। এখন মোট ২১ জন মুখপাত্র রয়েছেন। লোকসভার আগে একাধিক নতুন মুখ আনা হতে পারে। মুখপাত্র বাছাইয়ের কাজটি করবেন সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই কাকে মুখপাত্র করা হবে, তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
Be the first to comment