অ-বিজেপি নেতৃত্বকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, বার্তা এক জোট হওয়ার

Spread the love

বিরোধীদের এক কাট্টা করতে ময়দানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের চিঠি দিলেন তিনি। বিরোধীদের এক জোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছে বিজেপি, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গণতন্ত্রে আঘাত করছে বিজেপি।

চিঠিতে মুখ্য়মন্ত্রী উল্লেখ করেছে, সিবিআই, ইডি, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স এজেন্সি- এই সমস্ত যে কেন্দ্রীয় এজেন্সি রয়েছে, সেগুলোকে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করেই বিরোধীদের অধিকারগুলিকে খর্ব করার চেষ্টা করছে বিজেপি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা চলছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী আচরণ করছে বিজেপি। তাও অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই পরিস্থিতি বিজেপি বিরোধী কিংবা মোদী বিরোধী নেতৃত্ব রয়েছেন, তাঁদেরকে এক কাট্টা করে একটি বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি কীভাবে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানছে, তাও এই চিঠির ছত্রে ছত্রে উল্লেখ করেছেন তিনি। এমনকি দিল্লির প্রসঙ্গও তুলেছেন তিনি। দিল্লি পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন তৈরির চেষ্টা চলছে, সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরগুলিকে এক সঙ্গে করে মোদী বিরোধিতার সুর আরও চড়াতে চাইছেন।

সোমবার এই চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কেসিআর, চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সকলের উদ্দেশেই চিঠি করেছেন তিনি।  বাকিদের কাছেও দ্রুত এই চিঠি পৌঁছে যাবে বলে সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, দ্রুতই বৈঠকে বসতে। বিজেপি একাধিক রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, কিন্তু বিধায়কদের সংখ্যার নিরিখে বিরোধীদের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে বিজেপি সহজে পার পাবে না, সেই বার্তাটাই চিঠির মাধ্যমে দিতে চেয়েছেন তিনি।

বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এখন আর বাংলা সামলাতে পারছেন না। আইন শৃঙ্খলা নেই, টাকা পয়সা নেই। আর কিছু করতে পারছেন না, তাই এটা করছেন। এই সব নাটক করে থাকতে চাইছেন। আদালতও যে নির্দেশ দিচ্ছে, তাতে ওঁর আর কোনও রাস্তা নেই। দেশে বহু কেস সিবিআই তদন্ত করছে, বাংলায় তদন্ত করছে আদালতের কথায়। এমনিতেই তো নয়। তাহলে আদালতকে দোষ দেওয়া উচিত।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি চিঠি দিতেই পারেন। আর সময়টাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন বগটুই হচ্ছে, মালদা হচ্ছে, মাটিয়া হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বাংলায় কী চলছে, সবাই বুঝতেই পারছেন। এই পরিস্থিতিতে সবার নজর ঘোরানোর জন্য এই সময়টা চিঠি দেওয়ার জন্য বেছে নিতেই পারেন। এটা নজর ঘোরানোর চেষ্টা।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*