পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের পর রিটার্ন গিফ্ট হিসেবে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে যে, রান্নার গ্যাসের দাম একলাফে ২৫০ টাকা, জরুরি ওষুধের দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নবান্নে বৈঠকের পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। স্রেফ সুফল আউটলেটের সংখ্যা বাড়ানো নয়, বাজারে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন টাক্স ফোর্সের সদস্য়, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ, পুলিস-সহ রাজ্যের সমস্ত দফতরকেই।
পেট্রল-ডিজেলের দাম কমার তো কোনও লক্ষণই নেই। সঙ্গে আবার পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামও। আকাশছোঁয়া কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে টাক্স ফোর্স, কৃষি বিপণন, পরিবহণ, সেচ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
এদিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে। সাধারণ মানুষের হাত থেকে সবকিছুই বেরিয়ে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধ কেন্দ্রের বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকার কিছু তো করছেই না, উল্টে ১৫ দিনে ১৬ বার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। ৮০০ জীবনদায়ী ওষুধের দাম বেড়েছে। টোল ট্যাক্সও বাড়িয়ে দিয়েছে’। সঙ্গে যোগ করেন, আমরা যখন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন বলেছিলাম, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করব, MEME করব, কৃষকদের টাকাটা বাড়িয়ে দেব। আমার জেতার পর ৩ মাসের মধ্যে কথা রেখেছি।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেট্রোলে ১ টাকা ছাড় দিই। বাংলার ৩৩২ টা সুফল আউটলেট খুলেছি। আলু-সহ সমস্ত সব্জি বাজারের থেকে অনেক কম দামে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আগামিদিনেও করব। বাংলায় সুফল আউটলেটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০০ করতে হবে। আমার নিজের মাছ চাষ করছি। ডিম-পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। টাক্স ফোর্সের সদস্য, কৃষি বিপণন, এনফোর্সমেন্ট বিভাগ ও পুলিস-সহ আমাদের সমস্ত বিভাগকে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে’। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে GST-ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানো. জিনিসপপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ ও টোল ট্যাঙ্ক নেওয়ার বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment