একুশের নির্বাচনে জয়ের পর দলের প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তৃণমূল ভবনে দুপুর ২টোয় বৈঠক হবে। সাংগঠনিক বৈঠক থেকে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। শনিবারের বৈঠকে থাকতে পারেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও।
জানা যাচ্ছে, দলের সংগঠনকে মজবুত করতে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ফর্মুলায় হাঁটতে পারে তৃণমূল। বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়তে পারে। উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের নেপথ্যে অভিষেক অন্যতম কাণ্ডারী বলে মনে করে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এমনকী, নির্বাচনী প্রচারে অভিষেককে নিশানা করেছেন মোদী-শাহরাও।
অন্যদিকে, দলের বেশ কয়েকটি শাখা সংগঠনের মুখ বদল করা হতে পারে। বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করতে পারেন মমতা। এদিকে, বিজেপি ছেড়ে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চেয়ে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, তাঁদের বিষয়ে তৃণমূলনেত্রী কী ভাবছেন, তার আভাস মিলতে পারে। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই তৃণমূলত্যাগী সোনালি গুহ এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘৫ তারিখে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে ঘোষণা হতে পারে’। বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মমতার ‘ছায়াসঙ্গী’ সোনালি।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলার পুর প্রশাসকরাও পাঁচ বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে করোনা অতিমারীর আবহে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলার দলীয় সাংসদ-বিধায়করা তৃণমূল ভবনে হাজির হলেও, দূরের জেলার জনপ্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি বৈঠকে হাজির থাকবেন। তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
অনেকের মতেই, পুর-প্রশাসকদের বৈঠকে ডাকা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় নির্বাচন বাকি। করোনার কারণে পুজোর আগে পুর-নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা যদিও কম। তবে এখন থেকেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল। সেই মতো পুর প্রশাসকদের বকেয়া কাজগুলি দ্রুত সেরে ফেলার নির্দেশ তৃণমূলনেত্রী দিতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Be the first to comment