এলাকায় অশান্তি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কাজ করছেন না পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার। এবার সে অভিযোগে খোদ পুলিশ সুপারকেই তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যপালের নির্দেশে বা রাজনৈতিক চাপে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে কিনা, সে প্রশ্নও করেন তিনি। কাজ করতে সমস্যা হলে তাঁকে জানানোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তোমার জেলা সম্পর্কে অভিযোগ পাচ্ছি। কাউকে কাউকে সাজিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। অনেকদিন বলেছি কিছু করনি। তারপরই আমি বিষয়টিতে ঢুকেছি। বাধ্য হয়ে হলদিয়ায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করাতে হল। ওদের জন্য কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। ভালভাবে কাজ করবে বলে তোমাকে ওখানে দিয়েছিলাম। কাজ করতে ভয় লাগছে?” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “রাজ্যপাল কি ফোন করছেন? রাজনৈতিক চাপে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে?” কাজ করতে অসুবিধা হলে তা যেন মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়। একথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির উদাহরণ টেনে তাঁর মতো করে কাজ করার কথাও বলেন।
বারাকপুরে একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষ, খুন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপিকে হাত মিলিয়ে কাজ করার কড়া নির্দেশ দেন তিনি। অশান্তির নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা জানতে প্রয়োজনে সিআইডি এবং এসটিএফের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মালদহের পুলিশ সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত কয়েকদিন ধরে মালদহে বিএসএফের গুলিতে জখম এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। কতবার গুলি চলেছে, কতজনের প্রাণহানি হয়েছে, কে-ই বা জখম হয়েছেন, মালদহের পুলিশ সুপারকে সে সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগরে পুরভোট। তার আগে সেখানেও যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment