রাস উৎসবে যোগ দিতে নদিয়ায় পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার ঠাকুর নগর ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুন সিং মেঘবাল। সিএএ নিয়ে ইতিমধ্যে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। এমন আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে। বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেসকে এক যোগে আক্রমণ করেন তিনি। সঙ্গে সিএএ এবং এনআরসি নিয়েও সরব হন।
NRC ও CAA নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনি যদি নাগরিক না হতেন, তাহলে এগুলো কী করে হত? বিজেপি কিছু লোককে এখান ওখান থেকে দেখে নিয়ে আসতে চায়। তারা বাংলার লোক নয়, মনে রাখবেন। তাদের বাংলায় অনুপ্রবেশ করানোর জন্য, তাদের কাছে নাগরিকত্ব দিয়ে আপনার অধিকারকে ছোট করবে। আমি বলি, মতুয়ারা এখানকার নাগরিক। রাজবংশীরা এখানকার নাগরিক। উদ্বাস্তুরা এখানকার নাগরিক। আদিবাসীরা এখানকার নাগরিক। সংখ্যালঘুরা এখানকার নাগরিক। আপনারা যদি নাগরিক না হন, তাহলে আমিও নাগরিক নই।’
এর পাশাপাশি মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মমতা বলেন, ‘নির্বাচন আসলে মনে পড়ে ক্যা ক্যা ক্যা। ক্যা নিয়ে আপনাদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। নির্বাচন আসলেই তাদের মাথায় এনআরসি ঢোকে। মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করে। রাজবংশী-পাহাড়ি দিয়ে নিয়ে বাংলা ভাগ করার চেষ্টা করে। নদিয়ায় রানাঘাটের সাংসদ আপনাদের জন্য কিছু করেছে। তাহলে ভোটটা দেন কেন?’ এখানেই শেষ নয়, মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, ‘আমি মতুয়া ভাই-বোনেদের বলছি, আপনারা এখানকার নাগরিক। পুরোপুরি নাগরিক। আপনাদের উপর কোনও রকম কেউ কিছু করতে পারবে না। মনে রাখবেন আমি বড়মার চিকিৎসা একা করেছি। আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে দেব না। আমি জীবন দিতে তৈরি। নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না।’
এরপর তিনি বলেন, ‘বহুদিন আগে কৃষ্ণনগেরর মানুষ আমাদের দুটো লোকসভা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দুটো নির্বাচনে পর পর মাত্র কৃষ্ণনগর সিট আমরা পেয়েছি। রানাঘাট পায়নি। মাত্র বিধানসভাতেও একটা আসন পেলাম। কারণটা কী ভেবে দেখেছেন কি? আমি আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ করব, বিজেপি কী এমন করল, যে মিথ্যে কথা বলে লোকসভা সিট নিল। বিধানসভার সিট নিল। কাজ কিছু করেছে? একটাও কিছু করেছে?’
Be the first to comment