চিত্রগ্রাহক- (শুভেন্দু দাস)
এবারেও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উত্তম স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজিত হল কলকাতার নজরুল মঞ্চে। ‘মহানায়ক’ সম্মান পেলেন অপর্ণা সেন ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ষসেরা চলচ্চিত্র সম্মান (শিশু অভিনেতা) পেলেন নূর ইসলাম ও সামিউল আলম। বর্ষসেরা চলচ্চিত্র সম্মান পেলেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও মিমি চক্রবর্তী। বর্ষসেরা চলচ্চিত্র পরিচালক হলেন মানস মুকুল পাল এবং প্রযোজক হিসাবে সম্মান পেলেন শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। বর্ষসেরা চিত্রগ্রাহক হলেন শীর্ষ রায় এবং বর্ষসেরা চলচ্চিত্র সম্মান (চিত্রনাট্যকার) পেলেন কৌশিক গাঙ্গুলি। সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে বর্ষসেরা চলচ্চিত্র সম্মান পেলেন অনুপম রায় ও জিৎ গাঙ্গুলি।
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন উত্তম কুমার সবার উপরে। অগ্নিপরীক্ষায় সবার উপরে চিরদিনের নায়ক। যে ভাবে অভিনয় করেছেন তিনি কোনও দিনও আমাদের হৃদয় থেকে মুছে যাবেন না। আমরা ভাবতে পারি না উত্তম কুমার নেই। আমরা যাঁরা তাঁকে ভালোবাসি তাঁরা ভাষায়, মননে, চিন্তনে তাঁর দ্বারা পল্লবিত হই। যাঁরা তার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা জানেন কত বড় মানের অভিনেতা ছিলেন তিনি। আমরা অপর্ণা সেন ও পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মহানায়ক’ সম্মান দিলাম। বাংলায় অর্থ ততটা না থাকলেও প্রতিভা যা আছে তার জুড়ি মেলা ভার। তাই বলিউডকে জয় করে বিশ্ববাংলা মিলিত হবে এই বাংলায়।
এছাড়াও এদিন ‘মহানায়ক’ সম্মান পেয়ে অপর্ণা সেন বলেন, আমি উত্তম বাবুর সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমার আফশোষ পরিচালক হিসাবে ওঁনাকে আমার ছবিতে ব্যবহার করতে পারলাম না।
অপর পুরষ্কার প্রাপক পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যে মানুষটি এখনও জীবিত আছেন তাঁর তিরোধান দিবস করে লাভ নেই। উত্তম কুমার এখনও আমাদের সবার মধ্যে বেঁচে আছেন।
এদিন বিভিন্ন মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহানায়ক উত্তম কুমারকে স্মরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
Be the first to comment