দলের শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি বলেন, ”যারা দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নির্দলের হয়ে প্রচার করেছেন, তাঁদের উপর নজর রাখা হয়েছে। প্রথম অ্যালার্ট করা হবে। তারপর শোকজ আর সেরকম মনে হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।”
সোমবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে এভাবেই কড়া ভাষায় দলীয় কর্মীদের সতর্ক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, ”দলের উপর ভরসা রাখতে হবে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে হবে। দলের প্রার্থী ছেড়ে নির্দল প্রার্থীকে পুরভোটে সাহায্য করেছেন অনেকে। বগলদাবা করে ঘুরেছেন। আমি সব নজর রেখেছি। দলের প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও নির্দলদের কেন সমর্থন করা হবে? এদের নাম ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ২-৩ জনকে সতর্ক করা হয়েছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে বলেছি। প্রথমে অ্যালার্ট করা হবে। তারপর শোকজ করা হবে। এরপরও না হলে দল থেকে ঘ্যাঁচ করে কেটে দেওয়া হবে।”
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, নিজের লবির লোককে দেখলে চলবে না। দলের নীতি মেনে চলতে হবে। নিজেকে কেউকেটা ভাববেন না। দলকে গুরুত্ব দিতে হবে। নজরুল মঞ্চ থেকে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যদের নামও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে রাখা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।
বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদের হট্টগোল নিয়েও এদিন ফের একবার ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ”গতকাল বিধানসভায় যা হচ্ছে তা গণতন্ত্রের লজ্জা। পুরভোটে হেরেও লজ্জা নেই বিজেপির। নির্বাচিত দলকে কাজ না করতে দেওয়ার জন্যই বিজেপি এরকম করেছে। চক্রান্ত করেই এমনটা করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ”ডেউচা পাঁচামি এবং তাজপুর নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে। মানুষকে উস্কানো হচ্ছে।” তবে মানুষ তা মেনে নেবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”বেছে বেছে কাঁথি, ব্যারাকপুর, বহরমপুরে গণ্ডোগোল হচ্ছে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে হবে বিরোধী দলগুলিকে। সিপিএম এখন দর্শনধারী। কুড়ি বছর কেন, রাম বামেরা পঞ্চাশ বছরেও রাজ্যে আসতে পারবে না।” নেত্রীর আরও সংযোজন, ”তৃণমূল ভদ্রতা করে বলে দুর্বল নয়।”
Be the first to comment