১০ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়াকে স্মার্ট ফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন দেওয়া উচিত পড়াশোনা করার জন্য। স্মার্টফোন শিক্ষার পরিধি বাড়াবে। আমাদের ছেলে মেয়ারা যাতে কম্পিটিশনে অংশ নিতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ট্যাব প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার ১০ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়াকে স্মার্ট ফোন/ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার শিশু দিবস উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ১৪ জন পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার জন্য প্রতীকী চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

আজ শিশু দিবস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। সারা বিশ্বের শিশুদের ভালোবাসা। তিনি আরও বলেন, “প্রাইমারি এডুকেশনে বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে। রাজ্যে অনেক নতুন কলেজ তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে। ৬০০ মেডিক্যালে সিট বেড়েছে। ৫১টি নতুন কলেজ, ৭ হাজারের বেশি নতুন স্কুল, ২ লক্ষের বেশি শ্রেণিকক্ষ ৪ হাজারের বেশি হিন্দু, ইংরেজির মতো অন্যান্য ভাষায় স্কুল তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ৮০ লক্ষের বেশি মেয়েকে কন্যাশ্রী দেওয়া হয়েছে। ৩ কোটি ৭ লক্ষ ঐক্যশ্রী এবং ১ কোটি ১০ লক্ষ শিক্ষাশ্রী দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১০ হাজার টাকা করে দশ লক্ষ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। ২ লক্ষ ৫৩ জনের বেশি নিয়োগ হয়েছে মাদ্রাসা-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে ইতিমধ্যেই ৭.৫ কোটি খরচ করা হয়েছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয় এক নম্বরে রয়েছে। আই পি এস/আই এস তৈরি করতে ২৬ টা সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে বিনা পয়সায় ট্রেনিং দেওয়ার।

এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চে দাঁড়িয়ে শিক্ষক, অধ্যাপকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে ১.৫ লক্ষ। এদিন গত কয়েকবছরে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি। ছাত্রছাত্রীদের আরও এগিয়ে চলার বার্তা দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*