আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা নয়। আবহাওয়া খারাপ ছিল না। সামনে অন্য বিমান এসে পড়াতেই বিভ্রাট। বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, ‘পাইলটের দক্ষতাতেই রক্ষা পেয়েছি।’ সোমবার সকালে বিধানসভায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সে সময় তাঁর ঘরে ঢোকার সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়েন তিনি। উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার পথে বিমান বিভ্রাট নিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আবহাওয়ার কারণে বিমান বিভ্রাট ঘটেনি। মুখোমুখি চলে এসেছিল আরও একটি বিমান। আর তাতেই বড় বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। তবে পাইলটের দক্ষতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে। ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই পাইলট গোটা বিষয়টি সামলে নিয়েছেন। ৮ হাজার ফিট নীচে নামতে হয়েছিল বিমানটিকে। যার ফলে কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। এখনও তাঁর কোমরে বেশ খানিকটা ব্যথা রয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ গোটা ঘটনার পিছনে আবহাওয়া নয়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের বিষয়টিকেই প্রশ্নের মুখে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ সফর সেরে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার সময়েই বড় দুর্যোগের মধ্যে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান বিভ্রাট নিয়ে একাধিক প্রশ্নও ওঠে। কলকাতায় নেমে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট কাণ্ডের তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন। কেন কীভাবে ঘটনাটা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রথমে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, খারাপ আবহাওয়া থাকায় এই সমস্যাটি হয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দাবি উড়িয়ে দিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, তাঁর বিমানের সামনে চলে এসেছিল অন্য একটি বিমান। এর আগে তৃণমূল ইউনিয়ন প্রশ্ন তুলেছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের বিষয়টি নিয়ে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই বিষয়টিকেই স্বীকৃতি দিলেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর বিমান কোন রুটে আসবে তা তো আগে থেকেই জানা ছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের। কিন্তু কেন যাত্রাপথ ফাঁকা রাখা হয়নি, সেটাও বিবেচ্য। বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা।
Be the first to comment