মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটে কোনও চক্রান্ত খুঁজে পায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। ৪ মার্চ উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা ফেরার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে। এরপরই চক্রান্তের তত্ত্ব তুলে নবান্ন ডিজিসিএকে চিঠি দিয়ে তদন্তের কথা জানায়।
বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নেই। বিমানমন্ত্রকের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে এও জানানো হয়েছে, একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালিয়েছে। কেউ তদন্তে কোনও চক্রান্তের হদিশ পায়নি। আদালত অবশ্য কেন্দ্রকে এ বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রের এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে নবান্ন কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ৪ মার্চ বারাণসী থেকে কলকাতা ফেরার পথে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান। পিঠে আঘাত পান তিনি। ওই দিন বিকেল ৩.১০ মিনিট নাগাদ রাজ্য সরকারের ভাড়া নেওয়া বেসরকারি সংস্থার বিমানটি কলকাতায় নামার চেষ্টা করছিল ৷ কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিমি উত্তরপূর্বে থাকা অবস্থায় বিমানটিতে প্রবল ঝাঁকুনি শুরু হয়। যাকে এয়ার টার্বুলেন্স বলে ৷
বিমানের পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ তাঁকে ৭ হাজার ফুট থেকে ২ হাজার ফুট নিচে আসার পরামর্শ দেয় এটিসি ৷ সেই নির্দেশ মানতে গিয়ে বিমানচালক বিমানটিকে আচমকা নিচে নামিয়ে আনেন ৷ তবে শেষ পর্যন্ত বিমানচালক পরিস্থিতি সামাল দেন । শেষ পর্যন্ত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ নিরাপদে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান অবতরণ করে ৷ এই তীব্র ঝাঁকুনির কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দেয় নবান্ন ।
Be the first to comment