শনিবার বড়দিন। আলোয় সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট। ক্রিসমাস ইভে ব্রেবোর্ন রোডের মোস্ট হোলি রোজারি ক্যাথিড্রালে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ওই গির্জার প্রার্থনাসভায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
এদিন ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমি কলকাতার মোস্ট হোলি রোজারিতে গিয়েছিলাম। মধ্যরাতের প্রার্থনায় অংশ নিয়েছি। ভগবানের কাছে সকলের নিরাপত্তা ও মঙ্গল কামনা করছি। উৎসবের আলো এবং সকলের হাসিমুখ দেখে আমি আনন্দিত! উৎসবের সময় সকলেই কোভিড বিধি মেনে চলুন, এই আবেদনই করছি। সবসময় মাস্ক পড়ুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। সারাবিশ্বের সকল ভাইবোনেদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই। ভ্যাটিক্যান থেকে গোয়া, মেঘালয় থেকে কলকাতা, সকলকে উৎসবের মরশুমের শুভেচ্ছা। সকলে সুখ স্মৃতি বুনুন! ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।
এদিকে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় জমতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ওই এলাকাকে ঘিরে রেখেছে কলকাতা পুলিশ। গোটা পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন তিন হাজার পুলিশ কর্মী। ছ’টি জোনে ভাগ করা হয়েছে পার্ক স্ট্রিট থেকে মল্লিকবাজার এলাকা। একজন DC এবং জয়েন্ট CP পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার আছেন এলাকায়।
পার্ক স্ট্রিট মোড় থেকে অ্যালেন পার্ক সহ প্রতিটি এলাকায় কলকাতা পুলিশের বিরাট বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য কলকাতা পুলিশের উইনার্স রয়েছে রাজপথে।
আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। সেই কারণেই এদিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে একটি অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করে বলা হয়েছে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দুরত্ববিধি মেনে চলার কথা। এছাড়াও ডবল ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে বাইরে বেরনোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যদিও এদিন বো-বারাক থেকে নিউ মার্কেট, সব জায়গাতেই মাস্ক ছাড়া মানুষজনকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, পার্ক স্ট্রিট, ময়দান, রবীন্দ্র সদন এবং এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বড়দিনে কলকাতা পুলিশ এবং RPF একসঙ্গে নিরাপত্তা এবং ভিড় সামলাবে। পাশাপাশি, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে যাতে করোনা না ছড়িয়ে পড়ে, তাই টোকেন কাউন্টার বাড়িয়েছে মেট্রো।
Be the first to comment