প্রধানমন্ত্রী কি পাকিস্তানের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’, প্রশ্ন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের

Spread the love

খাবার, চাকরির কথা বললেই পাকিস্তান দেখাচ্ছে, আমরা পাকিস্তানের কথা শুনব না। হিন্দুস্তানের কথাই আমরা শুনতে চাই। কেন বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করছেন? প্রধানমন্ত্রী কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত? শুক্রবার শিলিগুড়িতে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে পথে নেমে এভাবেই নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধিতায় এই আন্দোলনকে দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ বলেও বর্ণনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

কলকাতা, পুরুলিয়ার পর এবার শিলগুড়ি। শুক্রবার নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ির প্রধাননগর থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রা শেষ হয় বাঘাযতীন পার্কে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেন এই মহামিছিলে। পাহাড় থেকেও বহু লেপচা, গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষজন এসে ভিড় করেন তৃণমূলের মিছিলে।

গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে খারাপ ফল হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। অপেক্ষাকৃত অনেক ভাল ফল করেছে গেরুয়া শিবির। আর তাই কলকাতা, পুরুলিয়ার পর এবার উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ শহর শিলিগুড়িকেই তাঁর প্রতিবাদ কর্মসূচির জায়গা হিসেবে বেছে নেন তৃণমূলনেত্রী।

এদিন পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এদিন আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা। পাকিস্তান নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর একের পর এক মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এদিন পালটা আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে এদিন মমতা বলেন, ‘দেশের মানুষ খাবার, চাকরির কথা বললেই তাঁদের পাকিস্তান দেখানো হচ্ছে। কেন পাকিস্তানের সঙ্গে এদেশের তুলনা করা হচ্ছে? পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মতো কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দুস্তান নিয়ে কথা বলুন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করবেন না। আমরা পাকিস্তানের কথা শুনতে চাই না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হিন্দুস্তান চাই।’

এরই পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়েও ফের সুর চড়ান তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘এত দিন দেশে থেকেও নাগরিকত্বের প্রমাণ চাইছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা।’ কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আইনের কথা বলে মতুয়া সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘মতুয়ারা তো আগে থেকেই এদেশের নাগরিক। নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে আসলে তাঁদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

একইসঙ্গে নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে কেন্দ্র মানুষের নাগরিকত্বের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই পথে নেমে আন্দোলন করতে হচ্ছে। কাউকে যাতে ঠিকানা হারাতে না হয় তার জন্য জোট বাঁধতে হবে।’

এদিন কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

শুনুন!

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=737128526697041&id=364551790278835

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*