পুরভোটে বামেদের থেকে শিলিগুড়ি পুরবোর্ড দখল করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিল তৃণমূল। আর তেমনটা হলও। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ভোটে পরাজিত হন সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫১০ ভোটে হার হয় প্রবীণ এই বাম নেতার। সোমবার, যেদিন শিলিগুড়ি পুরনিগম বামেরা হারাল, ঠিক সেই বিকেলেই সেখানে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতাতেই বলে গিয়েছিলেন, “শিলিগুড়িতে জয়ের খবর নিয়ে যাচ্ছি। আমি খুবই খুশি। এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার।” এরপর গতকালই চারটি পুরসভার মধ্যে একমাত্র শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী দলের ৩৭ কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করার পাশপাশি বেশ কিছু নির্দেশ দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শিলিগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলররা কে কেমন কাজ করছে তা দেখবে মনিটারিং কমিটি। পুরসভার কাজ খতিয়ে দেখার জন্য সেই কমিটিও তৈরি করে দিয়েছেন তিনি।পাশাপাশি নিজেও সেই কাজের কাজের তদারকি করবেন। এরপর জয়ী কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে তাঁকে ছবি তুলতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, “কাউন্সিলরদের যেন বেশী চাহিদা না থাকে। সর্ব স্তরের,সর্ব ধর্মের প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে চলতে হবে। তাদের জন্য কাজ করতে হবে। কোনও ভাবেই বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না।” কলকাতার মতো শিলিগুড়িতেও যে কাজ করা হবে তা নজরে রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “একটি কমিটি তৈরি করা হবে। আমি সেই কমিটিতে নিজে মনিটরিং করব। ”
প্রসঙ্গত, বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলেই বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে চলে যান শিলিগুড়ি নৌকাঘাট মোড়ে। পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সেখান থেকেই শিলিগুড়িবাসীকে ধন্যবাদ জানান তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। প্রতিটা মানুষের সমর্থন পেলাম। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন, কৃতজ্ঞতা। শিলিগুড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কাজ করেছি শিলিগুড়িতে। গজলডোবা থেকে বেঙ্গল সাফারি করেছি। রাস্তার সম্প্রসারণ, ফ্লাইওভার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হোক এখানে আমরা চাই। মালদহেও জমি দেব। বড় বিমান নামবে সেখানে।”
Be the first to comment