বঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিশ্চিত করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৬টি আসনে সমঝোতার প্রস্তাব পাঠালেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এআইসিসি সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই এই জোট প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন সোনিয়া। তার পর সেই বার্তা দলের জোট কমিটির অন্যতম সদস্য সলমন খুরশিদ মারফত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এবং তার উপর আলোচনা-পুনর্বিবেচনার জন্য হাতে ১০ দিন সময় রাখা হয়েছে। বড় বেশি বদল না হলে ২০ তারিখের মধ্যে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে চূড়ান্ত আসন রফা সেরে ফেলতে উৎসুক কংগ্রেস।
কোন কোন আসন নিয়ে সমঝোতা চাইছে কংগ্রেস? যতদূর জানা যাচ্ছে, ৬ আসনের এই তালিকায় রয়েছে বহরমপুর, মালদহ দক্ষিণ-সহ, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও পুরুলিয়ার নাম। কংগ্রেস বঙ্গে কাদের সঙ্গে জোটে যাবে তা নিয়ে প্রাথমিক ধন্দ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমের সঙ্গেও জোটের রাস্তা তারা খোলা রাখতে চাইছে বলে চর্চা চলছিল। কিন্তু সরাসরি এই পর্বে সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপ দুটি বিষয় স্পষ্ট করে দিল। এক, বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ধন্দ তৈরি হলে কংগ্রেসেরই ক্ষতি। দুই, বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলকেই তাদের দরকার। তাদের সঙ্গে জোট করে সেই সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক আরও মজুত করে নিতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে প্রদেশ নেতৃত্বের সিপিএমের সঙ্গে মাখামাখি তাদের একেবারেই নাপসন্দ।
এদিকে ১৩ জানুয়ারি প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে বঙ্গের জোট-ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক করতে কলকাতায় আসছেন রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক জি এ মির। তারপরই শুরু হয়ে যাবে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার প্রস্তুতি। ২৭ জানুয়ারি অসম থেকে কোচবিহারে প্রবেশ করবেন রাহুল। ৩ দিন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ঘুরে পুর্ণিয়া যাবেন। আবার ৩০-এ ঢুকবেন ডালখোলা হয়ে। পর পর ২ দিন মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কর্মসূচি তাঁর। তবে পুরোটাই করবেন গাড়িতে চড়ে। উত্তরের নেতৃত্ব চাইছে অন্তত এক-দুদিন রাহুল ওদিকের জেলাগুলিতে পদযাত্রা করুন। এই রাজ্যের পর রাহুল ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করবেন। দলের দক্ষিণবঙ্গের নেতৃত্বের বক্তব্য, রাহুলের যাত্রার রুট কলকাতা ছুঁয়ে না গেলে রাজ্যে তার প্রভাব সেভাবে পড়বে না।
Be the first to comment