মেদিনীপুর,বর্ধমানের পর বুধবার উত্তর চব্বিশ পরগণার গোপালনগরের জনসভামঞ্চ থেকে মতুয়া-মহলে সিএএ, নাগরিকত্ব এই দুই বাণেই বিরোধীদের বিঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তাঁর মুখে এল বহিরাগত তত্ত্বও। তৃণমূল নেত্রী স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এদিন গোপালনগর থেকে বলেন, এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না। আমি নিজে আমার মায়ের জন্মতারিখ জানি না। আপনারা কোথা থেকে বলবেন। বাংলাকে গুজরাট বানানো হবে না। মতুয়ারা এ দেশের নাগরিক, তাঁদের এ রাজ্যে থাকতে কাউকে নতুন করে শংসাপত্র দিতে হবে না।
পাশাপাশি বাংলায় ভোটের প্রচারে আসা বিজেপির পর্যবেক্ষকদের প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, এরা বহিরাগত, এরা কেউই বাংলার লোক নয়। পয়সার লোভ দেখাচ্ছে ভোটের লোভে। আর নয় ভয় দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার ক্ষমতা নেই ওদের। এছাড়াও মতুয়াদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে দলনেত্রী বলেন, মতুয়া উন্নয়ন বোর্ড তৈরি হয়েছে। বাগদি বাউরিদের জন্য কাজ করেছে রাজ্য সরকার। এসসি এসটি সার্টিফিকেটের কাজ সরলীকরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাফ জানিয়ে দেন, ছিন্নমূল মানুষদের রাখতে চাই। কোনও সার্টিফিকেটের দরকার নেই। ক্যা-এর নামে প্রতারণা করছে বিজেপি। আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, আমি বলছি নতুন করে কোনও সার্টিফিকেটের দরকার নেই। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মতুয়া পরিবারে ভাঙনের জন্যও দায়ী করেন বিজেপিকে। কথায় কথায় আসে কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ। তিনটি কৃষি আইনের অনৈতিকতার দিকগুলিকে চিহ্নিত করেন তিনি। বিনে পয়সার রেশনের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
মমতার মুখে উঠে আসে সরকারি কাজের বয়ান হিসেবে আসে ডিএ-এর কথা। কন্যাশ্রী বা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পগুলির উপযোগিতার কথাও ছুঁয়ে যান মমতা। পাশাপাশি জিএসটি-র সাড়ে আট হাজার টাকা কোটি টাকা পাওনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আরও একবার ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment