এবার সাংবাদিকদের স্বাধীনতার পক্ষে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবের উদ্দেশে লিখিত বিবৃতি দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোটা দলই সাংবাদিকদের সঙ্গে রয়েছে। সংসদ ভবন চত্বরে তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রনে কেন্দ্র যে নতুন নিয়ম জারি করেছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছে তৃণমূল। নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য প্রেস ক্লাবের শীর্ষকর্তাদের উদ্দেশে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে নয়া নিয়ম জারি করেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকার। আগে আবেদনের ভিত্তিতে সংসদ চত্বরে প্রবেশ করে নিজেদের কাজের অনুমতি পেতেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। সে টেলিভিশন চ্যানেলই হোক কিংবা সংবাদপত্র – আবেদনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিচয়পত্র দেখিয়ে তবেই সেখানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতো। কিন্তু শীতকালীন অধিবেশনে দেখা গেল, সংসদ চত্বরেও সাংবাদিকদের প্রবেশ কার্যত নিষিদ্ধ হয়েছে। লটারির ভিত্তিতে হাতে গোনা কয়েকজন ঢুকতে পারছেন। এতে সাংবাদিকদের কাজে অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে মনে করে তৃণমূল। তাই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে সাংবাদিকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। দলের আবেদন, সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে নয়া কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। তিনি অভিযোগ করেন, বলা হচ্ছে – সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ অথচ দেখা যাচ্ছে, সরকারের হয়ে সংবাদ পরিবেশন করা মাধ্যমগুলি দিব্যি প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, খবর ‘সেন্সর’ করা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ”সংসদ টিভি এখন সেন্সর টিভি।” এরপরই ডেরেক বলেন, ”সংসদের দুই কক্ষের অধ্যক্ষদের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন, নতুন বিধি পুনর্বিবেচনা করা হোক। প্রয়োজনে টেলিভিশন কভারেজের নিয়ম বদল হোক। পার্লামেন্ট সিক্রেট চেম্বার হয়ে গিয়েছে।”
তৃণমূলের জারি করা বিবৃতিতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বের মধ্যে ভারতের কী পরিস্থিতি, তাও উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮০ টি দেশের মধ্যে ভারতের র্যাঙ্ক ১৪২। এই অবস্থায় সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ সমালোচিত হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
Be the first to comment